1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শোকে কাতর লাহোর, চলছে চিরুণী অভিযান

২৯ মে ২০১০

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে দু্টি মসজিদে হামলা এবং হতাহতের ঘটনার পর শোকে কাতর লাহোরবাসী৷ চলছে পুলিশী তল্লাশি৷ আহাজারি নিহত ও আহতদের পরিবারে৷ ঐ ঘটনায় মারা গেছে আশি জন৷ আহত শতাধিক৷

https://p.dw.com/p/NcW4
ছবি: AP

মোটর সাইকেল তো সর্বত্র চলে কিন্তু লাহোরের রাস্তায় মোটর সাইকেল চলে মনে হয় সবচেয়ে বেশী৷ গতকাল সাধারণ মানুষের চলাচলের এই বাহনও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জুমার নামাজের পর দুই মসজিদে আত্মঘাতী হামলা এবং অন্তত আশি জনের মৃত্যুর পর৷

বেশ কয়েকদিন পাকিস্তানের ভারত লাগোয়া নগরী লাহোর শান্ত ছিল৷ কিন্তু গতকাল শুক্রবারের ঘটনার পর অত্যবশ্যকীয় ভাবেই মনে করিয়ে দিচ্ছে, সেখানে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ হয়নি৷

হামলা হয়েছে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে৷ দুটি হামলায় অংশগ্রহণকারী হামলাকারী ছিল কমপক্ষে পাঁচজন৷ নামাজ শেষের কিছু সময় পরেই বন্দুকধারীরা প্রথমে গ্রেনেড হামলা চালায়৷ পরে তারা মসজিদে ঢুকে পড়ে৷ টেলিভিশন চিত্রে দেখা যায়, এক হামলাকারী অবস্থান নিয়েছেন মসজিদের সুউচ্চ মিনারের উপর৷ তার হাতে থাকা আধুনিক অস্ত্র গর্জে উঠছে সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর৷ নির্বিচারে চালানো এই হামলায় গারহি শাহু এলাকার একটি মসজিদে হামলায় মারা গেছে সবচেয়ে বেশি৷ জোড়া হামলায় মারা যায় মোট আশি জন৷ আহত শতাধিক৷

Pakistan Angriff auf Moschee Garhi Shahu in Lahore
আহত একজনকে নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবিরাছবি: AP

আহমদীয় সম্প্রদায়ের নেতা মুজিবুর রহমান এই ঘটনায় বিমর্ষ৷ জানালেন, ‘তৎকালিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত আহমদীয় সম্প্রদায়কে নিষিদ্ধ করার আইনটিকেই মূলত জঙ্গিদের তাদের উপর হামলার মত ঘটনাগুলো ঘটাতে উৎসাহিত করছে৷'

কিন্তু কারা এই হামলা চালালো এই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে আগে চলে এসেছে৷ জীবিত দুই কিশোর হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ৷ অন্যদুই হামলাকারী নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছে শরীরে জড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে৷ ধরা পড়া কিশোরদ্বয় পাকিস্তান আফগানিস্তান সীমন্ত লাগোয়া এক উপজাতীয় অঞ্চলের বাসিন্দা৷ আর সেই অঞ্চলকেই বলা হয় আল কায়েদা এবং তালেবান গোষ্ঠীর স্বর্গরাজ্য৷ তাই নিরাপত্তা বিশারদদের ধারণা, এই হামলার পেছনে রয়েছে এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী৷

হামলার এই ঘটনার পর লাহোরে শুরু হয়েছে চিরুনী তল্লাশি৷ ধারণা করা হচ্ছে, আরও হামলাকারী এবং তাদের মদদদাতারা এখনো শহর বা তার আশেপাশের এলাকাতেই রয়েছেন৷ ঘটনার নিন্দা জানিযেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম