শীতের সকাল, শীতের সাতরং
শীতের সকাল মানে কুয়াশা, আবছায়া৷ কিন্তু সব শহরেরই নিজস্ব কিছু রং-ঢং থাকে৷ কলকাতা মহানগরীরও আছে৷
ভোরের অন্ধকার
ঘড়ি বলছে ভোর সাড়ে পাঁচটা, কিন্তু রাতের অন্ধকার তখনও কাটেনি গঙ্গাতীরে প্রিন্সেপ ঘাটে৷
কুয়াশার চাদর
হাওড়া ব্রিজ, সাতসকালে কুয়াশার চাদর জড়িয়ে শুয়ে৷ কারও যেন কোথাও যাওয়ার নেই৷
সকালের খবর
বাড়ির বাইরে বসে কেউ রোদ পোহান, কেউ মুখ গোঁজেন খবরের কাগজে৷ দেখে নেন, কী চলছে চারপাশে৷
নাস্তায় নিহারি
চিরাচরিত নিহারি, সকালের নাস্তা৷ রেস্তোরাঁয় তখন লোক আসতে শুরু করেছে একে একে৷
প্রথম আগুন
আগুন পড়ছে রাস্তার ধারের চায়ের দোকানের উনুনে৷ ধীরে ধীরে শহরের ঘুম ভাঙছে৷
প্রথম ট্রাম
ফাঁকা রাস্তায় ঘণ্টা বাজিয়ে চলে গেল দিনের প্রথম ট্রাম, কাজে বেরোল ভ্যানগাড়ি৷
ফুলের বাজার
সবার আগে ঘুম ভাঙে মল্লিকঘাটের ফুলের বাজারের৷ প্রথম রঙের ছোঁওয়া লাগে এখান থেকেই৷
ফলাও কারবার
সাতসকালেই দোকান সাজিয়ে ফেলেছেন চাচা৷ পুরনো আমলের লোক, আলসেমি তাঁর পোষায় না৷
আরও একটা দিন
শীতের সকাল নিয়ে কাব্যি করা এই মাসির নাপসন্দ৷ শীত হোক, বা গ্রীষ্ম, সকাল মানে তাঁর কাছে আরও একটা কাজের দিন, খাটুনির দিন৷
একটু উষ্ণতা
ঠান্ডা আর কাটতে চায় না৷ রাস্তার ধারে, কাঠকুটো জ্বেলে বিহারি কুলি-মজুরের দল, উষ্ণতার খোঁজে৷