1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিম্পাঞ্জিদের এক অভয়ারণ্যের কথা

১৮ এপ্রিল ২০১৭

শিম্পাঞ্জিদের সংখ্যা কমছে দ্রুত৷ অবস্থা এমন যে, তাদের জন্য এখন তৈরি করতে হচ্ছে অভয়ারণ্য৷ জাম্বিয়ার এক অভয়ারণ্যে শিম্পাঞ্জিরা কেমন আছে জেনে নেই চলুন৷

https://p.dw.com/p/2bMuo
Paarung und Balzverhalten bei Tieren Bonobos
ছবি: picture-alliance/WILDLIFE/M. Harvey

হাতে খানিকটা সময় থাকলেই শিফনের সঙ্গে খেলতে চলে আসেন টালিটা কাল্ভি৷ পুরুষ শিম্পাঞ্জিটি জাম্বিয়ার উত্তরে অবস্থিত পশুপাখির অভয়ারণ্য শিমফুনসি ওয়াইল্ডলাইফ অর্ফানেজের বাসিন্দা৷ আর কাল্ভি পশুচিকিৎসক৷ তিনি বলেন, ‘‘শিফন আগে পোষা প্রাণী ছিল৷ জীবনের লম্বা সময় একটি পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছে সে৷ তাই মানুষের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া উপভোগ করে সে যা অন্য শিম্পাঞ্জিরা ততটা করে না৷ ফলে আমরা বেশ ঘনিষ্ঠ হতে পারি৷ আসলে তার এরকম সঙ্গ দরকার, কেননা সে জানে না কীভাবে শিম্পাঞ্জিদের মতো ব্যবহার করতে হয়৷''

শিম্পাঞ্জিদের সুস্থ রাখা জরুরি৷ স্টেশনে ক্ষুদ্র পরিসরে অসুস্থ প্রাণী থেকে অন্যদের সংক্রমণ দ্রুত হতে পারে৷ শিফন একটি আলাদা খাঁচায় থাকে যেখানকার বাসিন্দারা দলবদ্ধভাবে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক ব্যবহার কখনো শেখেনি, ফলে মানিয়ে নিতে হতে অক্ষম৷

স্টেশনের অন্যান্য শিম্পাজিগুলো বুনো পরিবেশে যেমন থাকতো সেভাবেই এখানে বসবাস করে....দু'শ ফুটবল মাঠের সমপরিমাণ কাটাতারে ঘেরা ময়দানে মুক্তভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারে তারা৷

শিম্পাঞ্জিরা বেশ সামাজিক৷ তা সত্ত্বেও, আপনি যদি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান, আপনার অবশ্য কিছু অফার করতে হবে৷ স্টেশনের ১২০টি প্রাণীর অধিকাংশই মানুষের প্রতি খুব কমই আগ্রহ দেখায়৷ টালিটা কাল্ভি বলেন, ‘‘আমরা তাদের যেভাবে প্রাকৃতিকভাবে রাখছি, তা কিছু চ্যালেঞ্জেরও জন্ম দিচ্ছে৷ তাই আমরা এরকম সুযোগগুলো কাজে লাগাই, যেখানে তাদের আমাদের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় এবং দেখা যায়৷ তবে সবকিছু স্বেচ্ছায় করা হয়৷ আমি তাদের আশার জন্য চাপ দেই না৷''

গহীন জঙ্গলের শিম্পাঞ্জিরা

সামান্য ঘুস তেমন ক্ষতিও করে না৷ শিম্পরা সবসময়ই সুস্বাদু জলখাবার দেখলে প্রলুব্ধ হয়৷ শিমফুনসির প্রায় সকল প্রাণীর জীবনে বিয়োগান্তক ঘটনার অভিজ্ঞতা আছে৷ অনেককে অল্পবয়সে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করা হয়েছিল৷ শিম্পাঞ্জিরা তাদের অল্পবয়সি সদস্যদের রক্ষা করে, পরিণতিতে অনেকসময় পুরো একটি দলই হুমকির মুখে পড়ে যায়৷ 

শিমফুনসির বনে পশুদের জন্য মোটামুটি খাবার আছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়৷ ফলে দিনে দু'বার এখানকার সদস্যরা শিম্পদের জন্য সম্পূরক খাবার তৈরি করেন৷ আর এটা তাদের একান্ত নিজস্ব শিম্প রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা হয়৷ জন্তুগুলো সে খাবারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে৷ ইনোসেন্ট মুলিঙ্গা স্টেশনের প্রধান৷ তিনি একজন বনমানুষ বিশেষজ্ঞ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের এরকম এক ঘরে খেতে দেই, কেননা, আমাদের নারীদের পুরুষদের থেকে, অল্পবয়সিদের অন্যদের থেকে আলাদা করে খেতে দিতে হয়৷ পুরুষগুলো আধিপত্য দেখিয়ে সবকিছু খেয়ে ফেলতে চায়৷ যে কারণে আমরা তাদের আলাদা খেতে দেই৷''

ঠিক কী পরিমাণ শিম্পরা জঙ্গলে রয়েছে, তা কেউ জানে না৷ ধারণা করা হয়, তিন লাখের মতো হবে৷ অথচ বিংশ শতকের শুরুতে তাদের সংখ্যা ছিল কয়েক মিলিয়ন৷

ইয়ুর্গেন  শ্নাইডার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য