1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষাঙ্গণে যৌন হয়রানি, অভিযুক্তকে বহিস্কারের দাবি

৫ মে ২০১০

বাংলাদেশে একদিকে পুলিশ কর্মকর্তা নিহত, অন্যদিকে পুলিশই বলছে গুপ্তহত্যা বন্ধ করতে হবে৷ দখল নিয়ে সংঘর্ষ চলছে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়৷ এসবের বাইরে যৌন হয়রানির ঘটনায় উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গণ৷

https://p.dw.com/p/NEVx
ফাইল ফটোছবি: AP

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

বুধবারের সংবাদপত্রগুলো মূলত এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনাকে বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে৷ দৈনিক কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘আরেক পুলিশ কর্মকর্তা খুন'৷ পত্রিকাটির দাবি, ঢাকার রমনা থানার নয়াটোলা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শাহ মো. মিজানুর রহমানকে কে বা কারা হত্যা করেছে৷ মঙ্গলবার সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে হত্যাকারীদের সম্পর্ক কোন তথ্য এখনো বের করতে পারেনি পুলিশ৷

গুপ্তহত্যা

এদিকে, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে দৈনিক প্রথম আলো৷ পত্রিকাটি জানাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম করে নাকি অনেক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে৷ লাশও পাওয়া যাচ্ছে যেখানে-সেখানে৷ ত্রৈমাসিক বিশেষ বৈঠকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘গুপ্তহত্যা' উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা৷

পাহাড়ি এলাকায় দখল নিয়ে সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের ছলিমপুর এলাকায় বস্তি ও পাহাড়ি এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ছিন্নমূল বস্তিবাসীদের দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে৷ এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন৷ অবশ্য বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ দৈনিক সমকাল দিয়েছে এই খবর৷

শিক্ষাঙ্গণে যৌন হয়রানি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে৷ এ নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে৷ কিন্তু সেই অভিযুক্ত শিক্ষকের কোন বিচার এখনো হয়নি৷ দৈনিক ইত্তেফাক জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা৷ আপনি হয়তো জানেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন তারই বিভাগের এক শিক্ষিকা৷ কিন্তু তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন নিরব ভূমিকা পালন করেছেন কেন, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন৷

গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম