শিকারি বেড়াল গোঁফ দেখলে চেনা যায়
পুরুষ মানুষ হলে মোটামুটি একটা গোঁফ গজাতে কষ্ট হয় না৷ দাড়িও রাখা যায়, কিংবা লম্বা জুলপি৷ অস্ট্রিয়ার লিওগাং-এ যে বিয়ার্ড চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে গেল, তার কথা অবশ্য আলাদা৷
গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা
বিশটি দেশ থেকে আসা সাড়ে তিন’শ প্রতিযোগী ১৮টি বিভাগে লড়ে যাচ্ছেন রোঁয়া – থুড়ি, গোঁফ ফুলিয়ে...৷
গোঁফ যখন দাড়ির সাইজের
প্রথমে গজানো, তারপর যত্নআত্তি – এই যেমন আঁচড়ানো, পাকানো কিংবা রং করা – হাজার দেড়েক কৌতূহলী দর্শক এসেছিলেন কাইজারের গোঁফের বদলে গোঁফের কাইজারকে দেখবার জন্যে...৷
কাইজারি গোঁফও বাদ পড়েনি
শেষের দিকটা পাকানো হলেই সেটাকে কাইজারি গোঁফ বলে, সে আমলে জার্মান কাইজার বা সম্রাটের যে রকম গোঁফ ছিল৷ গোঁফ-দাড়ির বিশ্বকাপে কাইজারি গোঁফের আলাদা বিভাগ আছে৷ সে বিভাগে গতবার জিতেছিলেন জার্মানির অয়গেন হিপ, এবার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকি লিন৷ ওদিকে মার্কিন মুলুকে তিনকালে কোনো কাইজার ছিল না!
মার্কিন পতাকা – এবং গোঁফ
শ্মশ্রুধারী ভদ্রলোক এসেছিলেন নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে, নিজের প্রিয় শহরটির ফ্ল্যাগ কাঁধে করে৷ অন্যান্য মার্কিন প্রতিযোগীরাও এবার ভালো ফল করেছেন৷ আঠেরোটি বিভাগের মধ্যে ছ’টি বিভাগে জিতেছেন মার্কিনিরা, অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি৷
পয়েন্ট সিস্টেম
জুরি হওয়া সহজ নয়৷ প্রতিটি খুঁটিনাটির খেয়াল রাখতে হয়৷ যেমন দাড়ি কিংবা গোঁফ যদি ঠিকমতো আঁচড়ানো না হয়ে থাকে, তাহলে – না, মুণ্ডু কাটা যায় না, তবে ‘পয়েন্ট ডিডাক্ট’ করা হয়৷
‘ফুল’ দাড়ি, মানে আবক্ষ দাড়ি
গোঁফ-দাড়ির বিশ্বকাপের একটি ক্ল্যাসিক প্রতিযোগিতা৷ এ বছর স্থানীয় দাড়ি চ্যাম্পিয়ন হান্স গাসনার এই খেতাবটি জিতেছেন৷ প্রতিযোগীদের দেখলে সুকুমার রায়ের আবোলতাবোলের ছবির কথা মনে পড়ে যায়...৷
পরের বিশ্বকাপ টেক্সাসে
এবার যারা হেরেছেন, তারা একটি নতুন সুযোগ পাবেন ঠিক দু’বছর পরে, ২০১৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের অস্টিন শহরে৷ তখন দেখা যাবে কাইজার, মানে কাইজারি গোঁফ অ্যামেরিকার না জার্মানির...৷