শাস্তি পেল নাইজেরিয়ার সুপার ঈগল্সরা
১ জুলাই ২০১০অন্যদিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহিতা করতে হল ফরাসি কোচ রেমঁ দমেনেককে৷
বিশ্বকাপে গ্রুপ এ-তে নাইজেরিয়ার সঙ্গে ছিল আর্জেন্টিনা, গ্রিস ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ দুই ম্যাচে হার ও একটি ড্র৷ এভাবে প্রায় খালি হাতেই ফেরত এসেছে তারা৷ একরাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফেরার পর এখন খেলোয়াড়দের ওপর নেমেছে সরকারি খড়্গ৷ সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিরত থাকবে নাইজেরিয়া৷ ফলে অনুর্ধ্ব ২০ ও অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলছে না নাইজেরিয়ার প্রমিলা ফুটবল দল৷
এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে আফ্রিকা নেশন্স কাপের বাছাই পর্বেও খেলা হবে না জাতীয় দলের৷ শুধু খেলোয়াড়দের ওপর নয়, নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনকেও একহাত নিয়েছে সরকার৷ সংগঠনের নির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷
সরকারি টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান রোটমি আমায়েচি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের জন্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে তা যথাযথভাবে কাজে না লাগনোর জন্য এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা৷ নিষেধাজ্ঞার এই দুই বছরে ব্যয় করা অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে এবং ফুটবল ফেডারেশনের কাঠামো পুনর্গঠন করা হবে৷ তবে এনএফএফ এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ফেডারেশনের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ আর কয়েকদিন পরেই ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷
অন্যদিকে নাইজেরিয়ার মত ফ্রান্সও বিশ্বকাপে এবার কোন ম্যাচ না জিতে বিদায় নিয়েছে৷ এর জন্য বুধবার সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হন জাতীয় দলের কোচ রেমঁ দমেনেক এবং ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জঁ পিয়ের এসকালেত৷ তাদের জবাবদিহি করতে হয় ফরাসি ফুটবল দলের এমন বাজে পারফরমেন্সের কারণ নিয়ে৷
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোন ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রমের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না৷ যদি করে তো সেদেশকে ফিফা থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে হবে৷ বৃহস্পতিবার ফিফার মুখপাত্র নিকোলা মাইনগট জানিয়েছেন, তাঁরা নাইজেরিয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখছেন৷ একইসঙ্গে ফ্রান্সের ওপরও তাঁরা নজর রাখছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক