1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি ও ঐক্যের মন্ত্রে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বড়দিন

২৫ ডিসেম্বর ২০১০

আজ ২৫ ডিসেম্বর৷ খ্রিষ্টীয় ধর্মমতে, এই দিনেই বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন যিশু খ্রিষ্ট৷ তাঁর জন্মোৎসবকে ঘিরেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস৷ সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বড়দিনের উৎসব৷

https://p.dw.com/p/zpQ6
শান্তি, ঐক্য, মন্ত্র, বড়দিন, Christmas, Christian, Jerusalem, Palestine, Israel, Pope, Rome, Vatican, Happy, Jesus, Christ, ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিষ্টীয়, ধর্ম, বেথলেহেম, যিশু খ্রিষ্ট, খ্রিষ্টান ক্রিসমাস৷
ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা নিয়ে বেথলেহেমে হাজির ফুয়াদ ত্বালছবি: AP

বড়দিনের প্রথম প্রহরে জেরুসালেমের বেথলেহেমে অনুষ্ঠিত হলো গণপ্রার্থনা৷ সারা বিশ্ব থেকে যিশু খ্রিষ্টের হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছেন বেথলেহেমে৷ ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা নিয়ে বেথলেহেমে হাজির হয়েছেন জেরুসালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক ফুয়াদ ত্বাল৷ এবছর বড়দিনের উৎসবে যোগ দিতে সেখানে হাজির ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়াদসহ ইউরোপীয় দেশসমূহের বেশ কিছু শীর্ষ কূটনীতিক৷

সেইন্ট ক্যাথেরিন'স গির্জায় বড়দিনের শুরুতে ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ভাষণে শান্তি এবং সমঝোতার আহ্বান জানালেন ফুয়াদ ত্বাল৷ তিনি বলেন, ‘‘এই বড়দিনের মৌসুমে গির্জাসমূহের ঘণ্টাধ্বনি যেন ক্ষতবিক্ষত মধ্যপ্রাচ্যের অস্ত্রের ঝনঝনানিকে ম্লান করে দিতে পারে সেটিই প্রত্যাশা৷'' প্যাট্রিয়ার্ক ত্বাল বলেন, ‘‘বড়দিনে আমাদের আশা যে, জেরুসালেম শুধুমাত্র দু'টি দেশের রাজধানীই নয়, বরং এটি হোক তিনটি একত্ববাদী ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ৷''

গত অক্টোবরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি গির্জায় হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘ইরাকের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপর আঘাতের কথা স্মরণ করে আমরা বলতে চাই, এই ধরণের গোঁড়া কর্মকাণ্ড খ্রিষ্টান ও মুসলমান নির্বিশেষে সবার কাছে নিন্দিত৷'' মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সমঝোতার ডাক দিয়ে ত্বাল বলেন, ‘‘সহিংসতা এবং মৌলবাদে বিভক্ত যে পৃথিবী গির্জায় হত্যাকাণ্ডসহ নৃশংস কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেয়, সেই পৃথিবীতেই বেথলেহেমে জন্ম নেওয়া মহান শিশুর প্রথম শিক্ষা হচ্ছে ভালোবাসা৷ তিনি আমাদেরকে এমনকি শত্রুদের সাথেও সমঝোতা এবং ক্ষমা প্রদর্শনের শিক্ষা দিয়েছেন৷'' ত্বালের ধর্মীয় বক্তৃতার পরপরই শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে ধর্মীয় সংগীত ও সুরের মুর্ছনা৷ গভীর ভক্তি আর শ্রদ্ধার সাথে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গির্জার ঘণ্টাধ্বনির তালে তালে সেই সুর-সংগীতে ডুবে যান হাজার হাজার ভক্ত৷

Flash-Galerie Geburtskirche in Bethlehem
বেথলেহেমে যিশু খ্রিষ্টের জন্মস্থানে নির্মিত গির্জায় অলঙ্করণছবি: picture alliance / dpa

এদিকে, ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট বড়দিনের শুরুতে মধ্যরাতে ভক্তদের উদ্দেশ্যে ঐতিহ্যবাহী ভাষণ দিলেন সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই মহান শিশু মানুষের হৃদয়ে আলোর পরশ দিয়েছেন এবং ক্ষমতার নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে দিয়েছেন মহাশক্তি৷'' ক্রিসমাস রাতে মহাপ্রভু এবং মানুষের নৈকট্যই বড় আনন্দের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এই আনন্দ হোক এমন প্রার্থনা যে, প্রভু তোমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করো৷ অত্যাচারীদের ক্ষমতা চূর্ণ করো৷ মানুষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সহিসংতা বন্ধ করো৷''

বড়দিনের এই মহোৎসবে উভয় ধর্মগুরুর কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে শান্তি ও ঐক্যের বাণী৷ এই মন্ত্রের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে ২০১০ সালের বড়দিনের উৎসব৷ পালিত হচ্ছে আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম