1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি আলোচনায় আরও স্পষ্টতা চায় ফিলিস্তিনিরা

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে কোনো সুনির্দিষ্ট শর্ত আরোপ না করলেও প্রস্তাবটিকে আরও স্পষ্ট করার জন্য মার্কিনিদের এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/LxDX
আলোচনায় অগ্রগতির স্বার্থে সব পথ খোলা রাখছেন আব্বাসছবি: AP

জাপান সফরকালে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনি পক্ষ কোনো সুনির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করেনি৷'' তিনি বলেন, মার্কিন প্রস্তাবের বিষয়ে ফিলিস্তিনিরা দরজা খোলা রেখেছে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত জর্জ মিচেলের কাছ থেকে প্রস্তাবের নানা খুঁটিনাটির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান৷

আব্বাস বলেন, এখন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে মিচেলের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর তিনি অন্যান্য আরব নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করবেন৷ আর কেবল তারপরই মার্কিন মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সম্মতি জানাতে পারবেন তিনি৷

এর আগে সোমবার আব্বাসের সফরসঙ্গী ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেছেন, এ শান্তি আলোচনায় অবশ্যই সীমান্ত মীমাংসার বিষয়টিসহ একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকতে হবে৷ যা কিনা তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সীমিত থাকা উচিৎ৷

ওদিকে, প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি নেতা নাসের আল-কিদবা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এটা স্পষ্ট করতে হবে যে, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় ভবিষ্যৎ দুই রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ ও বসতি স্থাপন বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং নতুন রাষ্ট্রে জেরুসালেমের অবস্থান কি হবে তাঁরও উল্লেখ থাকতে হবে৷

আল-কিদবা আরও বলেছেন, তিনি এবং অনেক ফিলিস্তিনিরাই বুঝতে পারছেন না যে, যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসনের প্রস্তাবিত এই পরোক্ষ শান্তি আলোচনা তাঁদের কোথায় নিয়ে যাবে৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা এই নিশ্চয়তা চায় যে, এই শান্তি আলোচনাই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি পদক্ষেপ হবে৷ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দল আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করতে চায় আল-কিদবাকে৷

ইসরায়েল তার দখলকরা ভূখণ্ড থেকে কতোটুকু পিছু হটবে তা স্পষ্ট না হওয়ায় পশ্চিম তীর এবং গাজা ভূখন্ড নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে এর সীমান্ত নির্ধারণের প্রশ্নটি বরাবরই অমীমাংসিত থেকে গেছে৷ একইসঙ্গে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে জেরুসালেমের মর্যাদা কী হবে সেই প্রশ্নটিও৷

ধর্মগ্রন্থ অনুসারে জেরুসালেম নগরীতে ইহুদিদের আদি উৎস থাকার কথা উল্লেখ করে পুরো জেরুজালেমের ওপরই নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায় ইসরায়েল৷ কিন্তু, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই একচেটিয়া দাবিকে স্বীকার করেনা৷ অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিরা পূর্বজেরুজালেমকে স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী বানাতে চায়৷ তাদের দাবি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর দখলকরা ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি সরে যাক ইসরায়েল৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক