1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাংহাইতে ‘‘পদচারণা’’, বেইজিং শান্ত

৬ মার্চ ২০১১

সুদূর টিউনিশিয়ার জুঁই ফুলের বিপ্লবের বীজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চীনে গিয়ে পৌঁছলেও, সেখানে তার সুরভি ছড়ানোর সম্ভাবনা কম৷

https://p.dw.com/p/10UHW
শাংহাইতে গত সপ্তাহান্তের প্রতিবাদ ‘‘পদচারণা’’ছবি: AP

রবিবার শাংহাইতে অন্তত ১০০ মানুষ সাপ্তাহিক ‘‘পদাতিক প্রতিবাদের'' স্থানে জড়ো হয় বটে, কিন্তু তাদের ঘিরে থাকে শত শত উর্দ্দিধারী এবং উর্দ্দিবিহীন গোয়েন্দা পুলিশ৷ খবরটা দেন জার্মানির ‘‘স্টের্ন'' পত্রিকার এক জার্মান সাংবাদিক - এবং স্বভাবতই টুইটার ব্যবহারকারীরা৷ শাংহাই'এর ‘‘শান্তি'' সিনেমা হলের সামনে প্রায় ৪০০ মানুষের জমায়েতে ‘‘স্টের্ন'' পত্রিকার জ্যানিস ভুগিওকাস'ও ছিলেন৷

ভুগিওকাস জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ'কে জানিয়েছেন, কে যে সাদা পোশাকের পুলিশ, আর কে আন্দোলনকারী, তা বোঝার কোনো উপায় ছিল না৷ তবে তিনি পুলিশকে এক ব্যক্তিকে আটক করতে দেখেছেন৷ পুলিশ ভুগিওকাস'কেও প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখে৷ আরো অন্তত ১৪ জন সাংবাদিক-সংবাদদাতাকে কাছের একটি সাময়িক পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷

চীনের এই ‘‘জ্যাসমিন ব়্যালি'' বা ‘জুঁই ফুলের প্রতিবাদ'-গুলির অনলাইন উদ্যোক্তারা অজ্ঞাত, অনামা৷ বিশে ফেব্রুয়ারি থেকে এই অভিনব সাপ্তাহিক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে৷ এক সপ্তাহ আগেও এরকম একটি রবিবারে শাংহাইতে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দু'হাজার মানুষ৷ চলতি রবিবারেও সারা চীনে অন্তত এক ডজন স্থানে এ'ধরণের প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল: তার মধ্যে বেইজিং'এর যানবহুল ওয়াংফুজিং এবং সিদান বাজারও ছিল৷

China Polizisten 27.02.2011
বেইজিং’এর ওয়াংফুজিং’এ গত সপ্তাহান্তেও ছিল পুলিশছবি: picture-alliance/dpa

কিন্তু ওয়াংফুজিং'এর দক্ষিণ প্রান্তে তিন ধাপ পুলিশের লাইন খাড়া ছিল - একটি ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তরাঁর ঠিক কাছে, কেননা ঐ রেস্তরাঁর সামনেই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ বেইজিং'এর বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছের মেট্রো স্টেশনটিও শনিবার থেকে দৃশ্যত মেরামতির জন্য বন্ধ রাখা হয়৷ অপরদিকে বেইজিং শহর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র ওয়াং হুই রবিবার বলেছেন যে, বেইজিং'এ ‘জুঁই ফুলের বিপ্লবের' ডাক ব্যর্থ হতে বাধ্য, কেননা জনগণ শান্তি এবং স্থায়িত্ব চায়, এবং সরকারের নীতিসমূহ জনপ্রিয়৷ এছাড়া তিনি আবার বলেন যে, সাংবাদিকদের এ'সব ভূতুড়ে প্রতিবাদের স্থল থেকে বিবরণ দেওয়ার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে৷ তিনি বিদেশী সাংবাদিকদের প্রতি ‘‘খবর না তৈরি করার'' আহ্বান জানান৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন