শত কোটি টাকার ফুটবল জুয়াড়িদের ধরতে ইন্টারপোলের অভিযান
১৬ জুলাই ২০১০আর এই জুয়া খেলা নাকি হয়েছে সবচেয়ে বেশি এশিয়ার দেশগুলোতেই৷ লাখো টাকা নয়, কোটি টাকা ছিল এ সব বাজির অংক৷ মালয়েশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মাকাও এবং হংকং-সহ বিভিন্ন দেশে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর আয়োজনে হয় এ সব জুয়ার খেলা৷ জুয়াড়িরা নাকি আন্তর্জাতিক সিন্ডেকেটের মাধ্যমে এই কাজ করেছে৷ জুয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি৷ তবে জুয়াড়িরা ক্রিকেটের মতো ফুটবল ম্যাচও নিয়ন্ত্রণ করেছে কিনা, সে সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি৷
এবার বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে জুয়ার ঘটনা তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল৷ তারা প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিকে কড়া নজরদারিতে নিয়ে এসেছেন, যারা জুয়ার আয়োজক বা অংশগ্রহণকারী৷ ইতিমধ্যে এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়ে গেছে৷ জুয়ার অংকের প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে তারা৷ ইন্টারপোলের কর্মকর্তা জেন মিশেল লাওবাউটিনের কথায়, ‘এই জুয়ার আড়ালে হয়েছে হুন্ডি, পতিতাবৃত্তি এবং আর্থিক দুর্নীতির মতো ঘটনা৷ আর এ সব কিছুই হয়েছে সংঘবদ্ধভাবে৷' তিনি বললেন. ‘আমরা এমন এক অভিযান পরিচালনা করছি, যার ফল পাওয়া যাবে ভবিষ্যতেও৷'
মালয়েশিয়াতে নাকি বিশ্বকাপ উপলক্ষে সরকারি অনুমতি নিয়েও কিছু জুয়া হয়েছে বলে জানা গেলেও, তা ছিল কঠোর নজরদারিতে৷ স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করে ইন্টারনেট জুয়া খেলার উপর নজর রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু কিছুতেই ঠেকানো যায়নি বেআইনিভাবে কোটি কোটি টাকার ফুটবল জুয়া৷
এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল জুয়া হয় চীনে৷ সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড জুয়াড়ির ছড়াছড়ি ছিল টানা একমাস৷ টাইটান স্পোর্টস উইকলির মতে, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে চীনে ৫০ হাজার কোটি ইয়েনের বাজি হয়েছে অনলাইনে৷ ভারতে শুধুমাত্র ঘোড়দৌড় বাদে অন্য যেকোন খেলায় বাজি বা জুয়া খেলা নিষিদ্ধ৷ ভারত বিশ্বকাপে না খেললেও সেখানে বাজি ধরার প্রবণতা পুরানো৷ ফলে সেখানেও চলছে অবৈধ উপায়ে বিশ্বকাপ জুয়া৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক