1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লো’রিয়েলের নগদ টাকা নেওয়ার জবাবদিহি টিভিতে করবেন সার্কোজি

১০ জুলাই ২০১০

সোমবারেই জবাবদিহি৷ লিলিয়ান বেতকুঁর কাছ থেকে শ্রমমন্ত্রী মারফৎ নগদ টাকা নিয়ে এবার জবাবদিহির মুখে সার্কোজি৷ সোমবার জাতীয় টিভিতে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট৷ ওদিকে, বেতকুঁ-ও বেশ বিপদেই৷ তাঁর বাড়িতে তদন্তদল৷

https://p.dw.com/p/OFg8
সার্কোজিছবি: picture alliance / dpa

চাপ বাড়তে বাড়তে হিমালয় হয়ে গেছে সার্কোজির জন্য৷ শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় তহবিল ভরতে তিনি বিপুল টাকা তুলেছিলেন নগদে৷ এক নামজাদা মহিলা শিল্পপতি লো'রিয়েলের মালিক লিলিয়ান বেতকুঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার শ্রমমন্ত্রী এরিক ওয়েরতকে৷ একেবারে খামে ভরে নগদে কড়কড়ে দেড় লক্ষ ইউরো ওয়েরতের হাতে নাকি তুলে দিয়েছিলেন বেতকুঁ৷ সেই অর্থেই নির্বাচনের আগে দলের তহবিল ভারী করে তোলেন প্রেসিডেন্ট৷

ফরাসি নিয়মে দলের জন্য নগদ সাহায্য সাড়ে সাত হাজার ইউরোর বেশি একাদিক্রমে নেওয়া যায় না৷ সেক্ষেত্রে খোদ প্রেসিডেন্ট এমন একটা বেআইনি কাজ করে পার পাবেন কী করে? বিষয়টা প্রকাশ্য এসে যাওয়ায় এখন প্রেসিডেন্টকে জবাব দিতে হবে৷ তাও আবার জনসমক্ষে৷ প্রেসিডেন্টের দপ্তর যদিও বলছে, সার্বিক সমস্যা ওপরে আলোকপাত করে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়েই কথা বলবেন সার্কোজি৷ তবে, বোঝাই যাচ্ছে, আসল কথা অন্য৷ পরিস্থিতির চাপ বুঝে আসরে নামতে বাধ্য হচ্ছেন সার্কোজি৷ এমনিতেই তাঁর জনপ্রিয়তার স্কেল ক্রমশই নিচে নামছে৷ গত কয়েকমাসে তা তলিয়ে গিয়ে ঠেকেছে এখন মাত্র ২৯ শতাংশে৷সাম্প্রতিক অতীতে কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এবং তাঁদের পদত্যাগ আরও কঠিন করে তুলেছে তাঁর সরকারের পরিস্থিতিকে৷ এরকম একটা সুযোগের জন্য মুখিয়ে থাকা বিরোধীরাও উঠে পড়ে লেগেছে সার্কোজির মুখোশ খোলার জন্য৷

সার্কোজি সমর্থক বেতেকুঁ-ও সুখে নেই৷ শুক্রবার থেকেই সরকারি তদন্তকারীদের একটি দল তাঁর প্রাসাদে হানা দিয়েছে৷ সাতাশি বছর বয়সী লিলিয়ান বেতকুঁ ফ্যাশন দুনিয়ার নামজাদা কসমেটিক্স নির্মাতা লো'রিয়েল-এর মালকিন৷ বিলিওনেয়ার তো অবশ্যই৷ তাঁর বাড়িতে কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ যোগ দিয়েছে আয়করও৷ ২০০৭ সালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে কীভাবে তিনি এই বিপুল অংকের নগদ খয়রাতি করেছিলেন, সেসব তথ্যপ্রমাণের খোঁজে চলছে ব্যাপক তল্লাশি৷ শোনা যাচ্ছে, সার্কোজির শ্রমমন্ত্রী ওয়েরত-এর আয়কর এবং হিসেবনিকেশ দেখাশোনা করার একটি সংস্থা আছে৷ এই সংস্থাই আবার বেতকুঁর তেরো বিলিয়ন ইউরোর বিশাল লো'রিয়েলের যাবতীয় হিসেবনিকেশ দেখে৷ আয়কর দেওয়া থেকেও তাদের বাঁচিয়ে থাকে এই শ্রমমন্ত্রীর সংস্থাটিই৷ বেতকুঁর সঙ্গে ওয়েরত-এর ঘনিষ্ঠতাও নাকি যথেষ্ট৷

ফলে এখন তদন্তের জাল টানা শুরু হওয়ার পর অনেক খবরই ক্রমশ ফাঁস হচ্ছে আস্তে আস্তে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম