লেস্টার সিটির মতো আরও কয়েকটি রূপকথা
রূপকথার জন্ম দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ারের শিরোপা জিতল লেস্টার সিটি৷ ক্রীড়াজগতের এমন আরও কয়েকটি ঘটনার কথা থাকছে ছবিঘরে৷
লেস্টার সিটি
গত মরসুমে কোনোভাবে রেলিগেটেড হওয়া থেকে বেঁচেছিল লেস্টার সিটি৷ ফলে এবার নতুন করে যখন প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম শুরু হয় তখন তাদের পক্ষে শিরোপা জেতার বাজির দর ছিল ৫০০০-১৷ অথচ সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সোমবার শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে লেস্টার৷ অবশ্য সেদিন কিন্তু তারা মাঠে ছিল না৷ দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহ্যাম চেলসির সঙ্গে ড্র করায় লেস্টারের শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়৷
নটিংহ্যাম ফরেস্ট
লেস্টারেরতো তাও বিলিওনেয়ার মালিক আছে, নটিংহ্যাম ফরেস্টের তাও ছিল না৷ তহবিল জোগাড় করতে একসময় ক্লাবটি পনির আর ওয়াইনের পার্টি আয়োজন করেছিল৷ সেই নটিংহ্যাম ফরেস্ট সবাইকে চমকে দিয়ে কোচ ব্রায়ান ক্লাও এর নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়৷ শুধু তাই নয়, পরের দু’বার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা৷ ছবিতে নটিংহ্যাম-এ স্থাপিত ব্রায়ান ক্লাও-এর ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে৷
মুহাম্মদ আলী
ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে রাজি না হওয়ায় আলীকে বক্সিং থেকে তিন বছর দূরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ ফলে তিনি যখন আবার ফিরে আসেন তখন তাঁর পক্ষে যে আবারও হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব হবে সেটি বিশ্ববাসী তো দূরের কথা, আলী নিজেও ভাবেননি৷ অথচ ৩২ বছর বয়সে সেটিই করে দেখিয়েছিলেন মুহাম্মদ আলী৷ ছবিতে জর্জ ফোরম্যানের বিরুদ্ধে আলীর সেই শিরোপাজয়ী ম্যাচের একটি মুহূর্ত দেখা যাচ্ছে৷
ডেনমার্ক
১৯৯২ সালে ফুটবলের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমে খেলার সুযোগই পায়নি ডেনমার্ক৷ পরে গৃহযুদ্ধের কারণে যুগোশ্লাভিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে বাছাইপর্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেনমার্ককে ইউরোতে খেলার সুযোগ দেয়া হয়৷ সেই সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা৷
বরিস বেকার
মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বল্ডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন জার্মানির বরিস বেকার৷ ১৯৮৫ সালে লন্ডনের কুইন্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত উইম্বল্ডনের ওয়ার্ম-আপ বলে পরিচিত প্রতিযোগিতাটি যখন বেকার জিতে যান তখন টেনিসবোদ্ধারা তাঁকে ‘ভবিষ্যতের উইম্বল্ডন চ্যাম্পিয়ন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে, এই ছেলে মাত্র তিন সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত উইম্বল্ডনই জিতে যাবেন!
দিদিয়ের দ্রগবা
রোমান আব্রামোভিচ ২০০৩ সালে চেলসি কেনার পর থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন৷ সেটি পূরণ হয় ২০১২ সালে৷ ফাইনালে ৮৩ মিনিটে বায়ার্ন গোল দেয়ার পর ৮৮ মিনিটে গোল করে দ্রগবা চেলসিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন৷ এরপর টাইব্রেকারে বিজয়ী গোলটিও করেন তিনি৷ ওটাই ছিল চেলসিতে প্রথম দফায় দ্রগবার খেলা শেষ ম্যাচ৷ এরপর গত মরসুমে যখন আবার চেলসিতে খেলেন দ্রগবা তখনও লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি৷