লেবাননে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা সোমবার
১৩ জানুয়ারি ২০১১সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী ইইউ
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসুক - এমনটাই চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি আমি আমাদের সমর্থন আবারো পুর্নব্যক্ত করছি৷'' অ্যাশটন আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে আমি সকল শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই৷
সঙ্কটের কারণ
মাত্র ১৪ মাস আগে শিয়াপন্থী হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি৷ কিন্তু বুধবার জোট থেকে পদত্যাগ করেন হিজবুল্লাহ সমর্থিত ১১ জন মন্ত্রী৷ লেবাননের সরকার ভেঙ্গে দিতে পদত্যাগের এই সংখ্যা যথেষ্ট৷ এই প্রথম সেদেশের কোন সরকারের পতন এভাবে হলো৷
হিজবুল্লাহ'র আকস্মিক পদত্যাগ
২০০৫ সালে সাদ আল-হারিরির পিতা রফিক হারিরিকে হত্যা করা হয়৷ বর্তমানে জাতিসংঘ সমর্থিত ট্রাইব্যুনালে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে৷ হিজবুল্লাহ বরাবরই এই ট্রাইব্যুনালের বিরোধী৷ তাদের ধারণা, তদন্তে হারিরির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হিজবুল্লাহর উধ্বর্তন নেতাদের জড়ানো হতে পারে৷ তাই, আগেভাগেই সরকার থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে এই গোষ্ঠী৷ শুধু তাই নয়, উগ্রপন্থী এই গোষ্ঠীর হুঁশিয়ারি, হারিরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনভাবে হিজবুল্লাহকে জড়ালে তার প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ৷
লেবাননের ভবিষ্যত
সরকার পতনের পর, আপাতত সাদ আল-হারিরিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্বে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল সোলায়মান৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, সোলায়মান নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত হারিরিকে এই দায়িত্বে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন৷ শোনা যাচ্ছে, নতুন সরকার গঠনে আগামী সোমবার আলোচনা শুরু করবেন লেবাননের রাজনীতিবিদরা৷
এখানে বলে রাখা ভালো, লেবাননের সরকার গঠন প্রক্রিয়া বেশ জটিল৷ একাধিক উপদলের প্রতিনিধিত্বে তৈরি হয় সে দেশের সরকার৷ এই পন্থায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই একজন সুন্নি মুসলমান হতে হবে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ