লেবাননকে সহিংসতামুক্ত রাখতে আহ্বান
৩১ জুলাই ২০১০শুক্রবার দুই দেশের নেতা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল সুলাইমান৷ বৈঠকের ব্যাপারে বিস্তারিত কোন কিছু জানানো হয়নি৷ তবে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে যে নেতৃবৃন্দ লেবাননের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন যাতে করে কোন ধরণের সহিংসতা নতুন করে শুরু হতে না পারে৷ এছাড়া গোষ্ঠীগত স্বার্থকে পেছনে ফেলে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও তাঁরা বলেছেন৷ এছাড়া কোন ধরণের মতপার্থক্য তৈরি হলে তা নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনগত পদ্ধতিতে সুরাহার জন্য জোর দিয়েছেন সৌদি আরব এবং সিরিয়ার নেতৃবৃন্দ৷
উল্লেখ্য, লেবাননের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক আল হারিরি ২০০৫ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন৷ কিছুদিন আগে জাতিসংঘের ফৌজদারি আদালত এই হত্যাকান্ডের জন্য লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করতে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়৷ এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়৷ হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ আন্তর্জাতিক আদালতের এই সম্ভাব্য অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ একই সঙ্গে এর পেছনে ইসরায়েলের সংযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননের জোট সরকার ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ এই অবস্থাতে উত্তেজনা প্রশমনে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশটি সফর করলেন এবং সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানালেন৷ এর আগে ২০০৮ সালেও লেবাননের সরকার গঠন নিয়ে হারিরি জোট এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল৷
এদিকে দুই নেতার এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ৷ লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক মাইকেল উইলিয়াম এক বিবৃতিতে বলেছেন, লেবাননের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের জন্য আরব দেশগুলোর প্রধানের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এবং এই সফর তাতে কল্যান বয়ে আনবে৷
এদিকে সৌদি আরব এবং সিরিয়ার পর লেবানন সফর করছেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খালিফা আল থানি৷ সৌদি বাদশাহ এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বৈরুত ত্যাগ করার পর তিন দিনের সফরে তিনি সেখানে পৌঁছেন৷ তিনি লেবাননের স্থিতিশীলতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন৷ কাতারের আমির বলেন, আমরা আশা করব লেবাননের শত্রুরা যা চায় সেদিকে তারা পা বাড়াবে না৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদ সুলতানা