1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয় সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি হচ্ছে, জানালো লিবিয়ান প্রেস

১৯ জানুয়ারি ২০১১

লিবিয়ার সেনাবাহিনীর বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললো সে দেশেরই একটি সংবাদ সংস্থা৷ লিবিয়ান প্রেস নামের এই সংবাদ সংস্থার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মর গদ্দাফির পুত্র সম্পর্কযুক্ত বলে প্রকাশ৷

https://p.dw.com/p/zzWe
লিবিয়াছবি: AP

লিবিয়া প্রেস, যা আল গাহাদ মিডিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটির প্রতিষ্ঠাতা সংস্কারপন্থী বলে পরিচিত সাইফ আল ইসলাম, সেই সংবাদ সংস্থার রাজনৈতিক সম্পাদকের এক প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীকে অদক্ষ হিসাবেই তুলনা করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী হাজার হাজার একর জমি দখলে নিয়েছে, যে জমিতে সেনা ক্যাম্প এবং ব্যরাক করার কথা ছিল৷ অথচ পরে সেগুলো সেনাবাহিনীর কাজে ব্যবহার করা হয়নি, বরঞ্চ তা অনেকের জন্য অর্থ-সম্পদ হিসাবে দাঁড়িয়েছে৷ কোনো সেনা অফিসারের নাম বা সংখ্যা উল্লেখ না করে এখানে বলা হয়েছে, তারা সেই জমি ও সম্পদ দখল করে সেগুলো দিয়ে দুর্নীতির নতুন দুয়ার খুলেছে৷ জাতীয় সেনাবাহিনীর যে কাজ থেকে দূরে থাকাই উচিত ছিল৷

তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে সে দেশের সেনাবাহিনীর বক্তব্য, যে-ই এই প্রতিবেদন লিখে থাকুক না কেন, সে লিবিয়া সম্পর্কে ভালো জানে না৷

Libanesische Soldaten in Tripoli
তেল-গ্যাস সম্পদ রক্ষার্থে লিবিয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছেছবি: picture-alliance/ dpa

তেল-গ্যাস সম্পদ রক্ষার্থে লিবিয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এই সংবাদ সংস্থা৷ বলেছে, সেনাবাহিনীর অনেক শীর্ষ কর্তা তেল গ্যাস রপ্তানি থেকে নানা অসৎ উপায়ে অর্থ বিত্ত সম্পদ গড়ে তুলছে৷

ঐ প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে, কে এই লাইনচ্যুত ট্রেনকে সঠিক রাস্তায় তুলবে? কারণ এদের নেতৃত্বের অধিকাংশই বুড়ো এবং যারা নতুন কোন কিছু গ্রহণের মানসিকতা সম্পন্ন নয়৷ আরাম-আয়েশ নিয়েই তারা ব্যস্ত, ফলে তারা তাদের সমর্থন পুরোপুরি হারিয়েছে৷

লিবিয়ার নিরাপত্তা জন্য যা প্রয়োজন তার চেয়েও অধিক সংখ্যায় সেনা সদস্য রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলছে, প্রয়োজন এক সামরিক নীতিমালা৷

উল্লেখ্য, বর্তমানে লিবিয়ার মোট কর্মক্ষম জনশক্তির ১০ শতাংশ সেনাবাহিনীর সদস্য৷ এদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ৷ বিশ্বের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ বলেই উল্লেখ করেছে তারা৷ ফলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যথাযথ বরাদ্দ পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ এই প্রতিবেদনের৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন