লিবিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ৮৪: মানবাধিকার সংস্থা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য
লিবিয়ার বিভিন্ন হাসাপাতাল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী নিহতের এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, শুক্রবার লিবিয়ার উত্তরের শহর বেনগাজিতে বিক্ষোভরতদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ এতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ৩৫ জন৷ সংশ্লিষ্ট শহরের একটি হাসপাতাল থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই তথ্য পেয়েছে৷ হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমরা শহরের সব ডাক্তারকে হাসপাতালে আসতে বলেছি৷ সবাইকে রক্তদানও করতে বলা হয়েছে৷ আমরা আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি৷
শুক্রবার বিক্ষোভরতরা বেনগাজি শহরে গাদ্দাফির একটি আবাসের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়৷ উত্তরের আরো কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে নিরাপত্তা বাহিনী৷ সবমিলিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৮৪৷
বিক্ষোভ থামেনি
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'র খবরে বলা হয়েছে, বেনগাজি শহরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী৷ তাসত্ত্বেও শহরের আদালত এলাকায় ভিড় করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ থেমে থেমে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে৷ সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, লিবিয়ার দ্বিতীয়-বৃহত্তম শহরটির অনেক এলাকাই এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে৷ এমনকি সেখানকার একটি বিমানবন্দরও দখল করে নিয়েছে প্রতিবাদকারীরা৷
এছাড়া আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুধু বেনগাজি নয় ডারনা এবং বাইদাশহ আরো কয়েকটি শহরে শনিবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে, রাজধানী ত্রিপলীর পরিস্থিতি তেমন উত্তপ্ত নয়৷ সেখানে রাজপথে গাদ্দাফির সমর্থকদের ভিড় বেশি৷
‘সরে যাও গাদ্দাফি'
গত ৪১ বছর ধরে লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করে আছেন মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি৷ ১৯৬৯ সালে অভুত্থানের মাধ্যমে তেল সমৃদ্ধ এই দেশের দায়িত্ব নেন তিনি৷ জনগণ আর গাদ্দাফিকে চাইছে না৷ এতদিন তারা কার্যত নিরব থাকলেও মিশর এবং টিউনিশিয়ার জনগণের সাফল্য লিবিয়ার সাধারণ মানুষকেও জাগিয়ে দিয়েছে৷ তাদের মূল দাবি, ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে গাদ্দাফিকে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস