1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা

১৪ এপ্রিল ২০১১

দুই সপ্তাহ ধরে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে পশ্চিমা বাহিনী৷ তবে এর সাফল্য এবং কৌশল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে৷ এ অবস্থায় বার্লিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক৷

https://p.dw.com/p/10tYs
বার্লিন বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের একাংশছবি: picture alliance / dpa

ন্যাটো'র ২৮টি সদস্য দেশ এবং লিবিয়ায় সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া আরো ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করছেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে৷ লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের সাফল্য এবং কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছে৷ ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেছেন, লিবিয়ার প্রশাসন যতদিন সাধারণ মানুষের উপর হামলা বন্ধ না করবে, ততদিন ন্যাটোর সামরিক অভিযান চলবে৷ তাঁর যুক্তি, লিবিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের পথ সুগম করতেই সেখানে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘লিবিয়ার বর্তমান প্রশাসনে কোন ভবিষ্যৎ নেই৷ এখন লিবিয়ার ভবিষ্যৎ জনগণের উপর নির্ভর করছে৷ তাদের ন্যায্য দাবি পূরণে লিবিয়ার মানুষের সহযোগিতায় ঐক্যবদ্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং লিবিয়ার প্রশাসন যতদিন হামলা বন্ধ না করবে ততদিন আমরা বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তার জন্য অভিযান চালিয়ে যাবো৷''

লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো৷ এগুলোর মধ্যে ৯০০ টি হামলা হয়েছে সেসব সেনা দলের উপর, যারা বেসামরিক মানুষের উপর হামলার চেষ্টা করছিল৷ ন্যাটো প্রধানের মতে, গাদ্দাফির জন্য এটা একটা সুস্পষ্ট এবং শক্তিশালী সতর্কবার্তা৷ গাদ্দাফি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে রাসমুসেন বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের সাধারণ মানুষের উপর সাঁজোয়া যান, ভারি অস্ত্র-শস্ত্র এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালাবেন আর আমরা অলসভাবে বসে থাকবো তা হতে পারে না৷''

NO FLASH Libyen Kontaktgruppe Katar
ছবি: picture alliance / dpa

জার্মানির অবস্থান

লিবিয়ার আকাশ সীমায় নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে সমর্থন করেনি জার্মানি৷ এছাড়া সেখানে সামরিক অভিযানে সৈন্য পাঠাতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে বার্লিন৷ তবে বৃহস্পতিবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে একমত তারা৷ গাদ্দাফিকে স্বৈরশাসক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক লিবিয়া চাই৷ আমরা লিবিয়ার সাধারণ মানুষকে সমর্থন জানাই যেন তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নিতে পারে৷'' উল্লেখ্য, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য গাদ্দাফির বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বাড়াতে চাইলেও, সেখানে কূটনৈতিক পন্থায় সমাধান চায় জার্মানি৷

এদিকে, বার্লিন বৈঠকে এসে ন্যাটোর অভিযানের পক্ষে সকলকে একক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ তিনি বলেন, ‘‘গাদ্দাফি আমাদের মনোবল পরীক্ষা করছেন৷ তাই এই অভিযান অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা এবং ঐক্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷'' এই অভিযানের সাফল্য দ্রুততর করতে তিনি গাদ্দাফি প্রশাসনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথা বলেন৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান