লিবিয়াতে গাদ্দাফি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ
১৬ এপ্রিল ২০১১কয়েকটি শহরে তুমুল যুদ্ধ
আজ বেশ কয়েকটি শহরে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ শুরুতেই মিসরাতার খবর বলে নিই৷ বিদ্রোহীদের সূত্রে বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে, শনিবার অন্তত ১০০ টি গ্রাড রকেট এসে আঘাত হেনেছে মিসরাতা শহরে৷ এতে তিন জন নিহত হয়েছে বলে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে৷ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গাদ্দাফির সেনাদের দেখা গিয়েছে শহরের কেন্দ্রে৷ টানা তিনদিন ধরে গাদ্দাফি বাহিনী এই শহরটিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এদিকে, ব্রেগা এবং আজদাবিয়া শহরেও উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে বলে বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে৷ বিদ্রোহীদের সামরিক বাহিনীর নেতা আবদেল ফাত্তাহ ইওনেস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ব্রেগার পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করছেন৷ তাদের অবস্থান ভালো বলে তিনি জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে, আজদাবিয়াতে বিদ্রোহীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে গাদ্দাফির সেনারা৷ নিয়মিত সেনাদের পাশাপাশি স্নাইপারদেরও ব্যবহার করছে তারা৷ মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ছয় জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে আজদাবিয়াতে৷ তবে ন্যাটোর বিমানগুলোর সহায়তায় বিদ্রোহীরা আজদাবিয়ার বাইরে একটি এলাকা দখল করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
ন্যাটোর সহায়তা
আসলে ন্যাটোর পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়েছে যে তারা বিদ্রোহীদের সামরিক অভিযানে সহায়তা করছে না৷ বরং তারা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য কাজ করছে৷ কিন্তু তাদের বিমান আক্রমণগুলো মূলত হচ্ছে গাদ্দাফির সেনাদের লক্ষ্য করেই৷ আর এই সুযোগ আজদাবিয়াতে এগিয়ে গিয়েছে বিদ্রোহীরা৷ এছাড়া শুক্রবার গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত শহরে ন্যাটোর জঙ্গি বিমানগুলো হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম৷
গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের অভিযোগ
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে৷ তাদের দাবি যে এসব ছবি ক্লাস্টার বোমার এবং এ বোমাগুলো দেখা গেছে মিসরাতা শহরে৷ হিউম্যান রাইটস দাবি করছে যে, গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতা শহরে এইসব গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করেছে৷ দেখা গেছে, এসব বোমা স্পেনের তৈরি৷ তবে লিবিয়ার সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তারা এই অভিযোগর পক্ষে আরও প্রমাণ দাবি করেছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার