1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাখপতি লবিইস্ট থেকে পিৎসার দোকানের কর্মী

২৭ জুন ২০১০

অ্যামেরিকার বড় মাপের লবিইস্ট তিনি৷ বিশেষ করে ৯০ এর দশকে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিক্যানদের উত্থানের সময় তিনি ছিলেন শীর্ষ পর্যায়ে৷ জ্যাক আব্রামফ৷ এখন তিনি চাকরি করেন একটি পিৎসার দোকানে৷

https://p.dw.com/p/O4Ga
ডোমিনো’জ পিৎসাছবি: AP

এমনকি ২০০০ সালে হোয়াইট হাউসে কে পৌঁছবেন সেটিও কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে তাঁর দ্বারা৷ জর্জ ডাব্লিউ বুশের ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে৷ তবে আব্রামফের পরিচয় এখানেই শেষ নয়৷ তাঁর প্রভাবের দৌড় যখন আকাশ ছুঁই ছুঁই তখনই ফাঁস হয়ে যায় তাঁর কিছু অপরাধের তথ্য৷ শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায় তাঁর অপরাধ চক্রের মামলা৷ দোষী সাব্যস্ত হন মেইল প্রতারণার দায়ে৷

আরো অভিযোগ ছিল, ফ্লোরিডার গ্যামব্লিং চুক্তির মাধ্যমে তিনি ঠকিয়েছেন ঋণদাতাদের৷ কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ ডলার৷ শুধু তাই নয়, মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া, লবির স্বার্থে মেইল প্রতারণা, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সাথে জড়ানো, কর ফাঁকিসহ তাঁর বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ প্রমাণ হতে থাকে আদালতে৷ আব্রামফের অপরাধ চক্রের জালে জড়িত থাকায় পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় দুই সাংসদকেও৷ পদত্যাগ করতে হয় কংগ্রেসের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বুশ প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও৷ এমনকি মনে করা হয় যে, ২০০৬ সালে কংগ্রেস থেকে রিপাবলিকানদের বিদায়ের ক্ষেত্রেও অনেকখানি দায়ী ছিল আব্রামফের অপরাধ জাল৷

Flash-Galerie Ostern Traditionen in den verschiedenen Ländern
এখন পিৎসার দোকানে কাজ করলেও আব্রামফ হোয়াইট হাউসেও ছিলেন প্রভাবশালীছবি: AP

তবে আব্রামফের গল্প এখানেই শেষ নয়৷ এসব অপরাধের দায়ে তাঁকে কাটাতে হয়েছে সাড়ে তিন বছরের কারাজীবন৷ ওয়াশিংটনের বাইরে ম্যারিল্যান্ডের কামবারল্যান্ড নিরাপত্তা কারা শিবিরে ছিলেন বন্দি আব্রামফ৷ আর সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এখন একটি পিৎসার দোকানে চাকরি নিয়েছেন তিনি৷ নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা বলছে, পিৎসার দোকানে চাকরি করছেন তিনি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দশ ডলার মজুরির বিনিময়ে৷

ওয়াশিংটনের একসময়ের প্রভাবশালী এই লাখপতি এই সপ্তাহেই চাকরি নিয়েছেন ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরের ‘টভ পিৎসা' দোকানে৷ প্রতিষ্ঠানটির মালিক রন রোজেনব্লুথ বলেন, ‘‘আব্রামফকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে আসলে তিনি ততোটা খারাপ নন৷ মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, কেন আমি তাঁকে চাকরি দিলাম? আমি বলতে চাই, আব্রামফ সমাজের প্রতি তাঁর ঋণ শোধ করছে৷ তাই আমি তাঁকে কেন চাকরি দেব না?''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক