1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমিং ফি কমানোর উদ্যোগ

জেমস পানিজি / এপিবি১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্থানভেদে ভোক্তাদের ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে পারে৷ কিন্তু ওপেন ইন্টারনেট হিসেবে ব্রাসেলসের সংস্কার ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/19hCC
Frau mit Handy am Strand, Roaming, Roaminggebühren, EU Ausland, Europa. #53099401 - Woman&coast-105 © Maxim Malevich
ছবি: Fotolia/Maxim Malevich

আপনি কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পর ফিরে এসে আপনার মোবাইলে অর্থের বিরাট একটা অঙ্ক দেখে ভয় পেয়েছেন? যদি আপনি ইউরোপের কোনো দেশে থাকেন, তবে রোমিং-এর কারণে স্থানীয় মোবাইল কোম্পানিগুলো আপনার কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেবে, কেবল আউটগোয়িং কলের জন্য নয়, ইনকামিং-এর জন্যও৷ এমনকি ইন্টারনেটে ‘থ্রটল' বা ডেটা প্যাকেজের নির্দিষ্ট ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গেলে নেটের গতি কমে যায়৷

স্থান পরিবর্তনের ফলে অনলাইনে হঠাৎ করেই কোনো কোনো অ্যাপ্লিকেশন ব্লক করে দেয়া হয়৷ ইউরোপে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় এমন ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হতে পারে৷

ইউরোপীয় কমিশনের এক পরিসংখ্যান বলছে, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স বা আইএসপিএস এখন চেষ্টা করছে এই সমস্যা থেকে ভোক্তাদের রক্ষা করতে৷

ইউরোপীয় কমিশন প্রধান জোসে মানুয়েল বারোসো বুধবার স্ট্রাসবুর্গে স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নে দেয়া বক্তব্যে ইউরোপের টেলিযোগাযোগ শিল্পে সংস্কারের ঘোষণা দেন৷ সেখানে ইউরোপের ভোক্তাদের কীভাবে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেন তিনি৷

তবে, যেখানে ২৮টি দেশের টেলিযোগাযোগ মার্কেট, সেখানে বিষয়টটি আসলেই জটিল৷

নিরপেক্ষ করার পক্ষে

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ৭ কোটি ৬০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হন৷ ৪ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারীর স্কাইপ ব্যবহারেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ এমনকি মেসেঞ্জার সফটওয়্যার – যেমন হোয়াটস-অ্যাপের ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখোমুখি হন তারা৷

আইএসপিএস চেষ্টা করছে, মোবাইল চার্জ কমানোর এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো যাতে সহজলভ্য হয় তার ব্যবস্থা করা৷

ইউরোপীয় কমিশন চাইছে, ইউরোপের প্রতিটি দেশের টেলিকমিনিকেশন কোম্পানি এবং আইএসপিএস নিরপেক্ষ নেটের দিকে মনোযোগ দিবে৷ কেননা এর ফলে সব প্রযুক্তি কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়া প্রতিযোগিতা করতে পারবে৷

কমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে জানান, বেশিরভাগ কোম্পানি কমিশনের এই পরিকল্পনার বিপক্ষে৷

ইউরোপের দেশগুলো এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট যদি রাজি হয়, তাহলে ইন্টারনেটের সীমাবদ্ধতা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে৷ এর ফলে ভোক্তারা সবধরনের বৈধ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবে, তবে বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তিগত ব্যবহার ছাড়া৷

যদি রোমিং চাও

ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তাব হলো, ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য একটি টেলিকম মার্কেট থাকবে, সেইসাথে রোমিং ব্যবস্থা তুলে দেয়া হবে৷ তাদের এ প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বা রেগুলেটর৷

২০১৪ এর জুলাইয়ে নতুন পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে বলে জানালেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনার নিলি রয়েস৷ এর ফলে মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ইউরোপের এক দেশ থেকে অন্যদেশ ভ্রমণের সময় একটি মোবাইল ফোন প্ল্যান কিনতে হবে৷ এর ফলে অপ্রত্যাশিত রোমিং চার্জের ভয় থাকবে না৷

ইউরোপের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অংশীদারিত্ব থাকায় তারা ভোক্তাদের রোমিং চার্জ বাতিল করতে চাইছে না৷ কেননা ইউরোপীয় জনগণের ৮৫ ভাগ টেলিফোন ব্যবহার করে৷ ফ্রান্স টেলিকম বলছে, রোমিং ফি বাতিল করলে ৭ বিলিয়ন ইউরোর লোকসানের মুখে পড়বে তারা৷

কমিশনের সংস্কার বাধার মুখে

কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারে কয়েকটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ৷ তারা তথ্য উপাত্ত আদান প্রদান ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে৷ বেশিরভাগ দেশের সরকার বলেছে, জাতীয় আগ্রহের কথা বলে কমিশন নতুন পরিকল্পনা তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে৷ তবে, কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে এসব দেশের সরকারের ভেটো কোন কাজে আসবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য