1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ বিমান ভূপাতিতের প্রতিক্রিয়া

২৫ নভেম্বর ২০১৫

মঙ্গলবার রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্ককে উত্তপ্ত করেছে৷ সেই তাপের আঁচ তুরস্ক ছাড়িয়ে ন্যাটো তথা পশ্চিমা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/1HCCQ
Türkei Syrien Kampfjet Russland Abschuss Grenzgebiet
ছবি: picture-alliance/dpa/Haberturk Tv Channel

Russian warplane crashes after being shot down by Turkish jets

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এই ঘটনাকে ‘পিঠে ছুরি মারা'র সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ এছাড়া এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি রাশিয়ার নাগরিকদের তুরস্কে ঘুরতে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, তুরস্কের ‘ক্রিমিনাল অ্যাকশন' রাশিয়া ও ন্যাটোর সম্পর্ককে অবনতির দিকে নিয়ে গেছে৷ এছাড়া এতে একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তুরস্ক ‘আইসিস'-কে রক্ষা করছে৷ এর ফলে যে ক্ষতি হলো সেটা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে৷

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন নিজের আকাশসীমা সুরক্ষার অধিকার তুরস্কের রয়েছে৷ তবে বিষয়টি নিয়ে আর উত্তেজনা বাড়বে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান বলেছেন, ‘‘তুরস্কের তার নিজের সীমান্ত সুরক্ষার অধিকারের বিষয়টি সবাইকে মানতে হবে৷''

‘দ্য ইকোনমিস্ট' মনে করছে, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করবে ন্যাটো৷ কিন্তু বিষয়টা অত সহজ হবে না৷ তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল৷ কারণ সিরিয়ায় আসাদকে সরাতে চায় তুরস্ক৷ তবে রাশিয়া সেটা চায় না৷ এছাড়া বোমা হামলার নামে রুশদের আক্রমণে সিরিয়ায় বসবাসরত তুর্কি ভাষা বলা তুর্কমেন সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়টি কদিন ধরেই রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্ক উত্তপ্ত করছিল৷ ২০ নভেম্বর তারিখে আংকারার রুশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও জানায় তুরস্ক৷

ন্যাটো ডিফেন্স কলেজের রিসার্চ ফেলো ড. জান কাসাপোলু ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায় তাহলে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা আরও ঘটবে৷ তখন উত্তাপটা শুধু রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে না থেকে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, তাঁর দেশ সিরিয়ায় থাকা রাশিয়ার হেমাইমিম ঘাঁটিতে ‘এস-৪০০ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম' পাঠাবে৷ এই মিসাইল সিস্টেমের সীমা কতখানি তা মানচিত্রে দেখিয়েছে ‘কনফ্লিক্ট নিউজ'৷

জার্মানির বিশিষ্ট প্রাক্তন কূটনীতিক ও মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সভাপতি ভল্ফগাং ইশিঙার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই ঘটনার পেছনে দুই পক্ষেরই প্ররোচনা কাজ করেছে৷ পেশিশক্তি দেখিয়ে তারা একে অপরের ক্ষমতা যাচাই করার চেষ্টা করছে৷

মঙ্গলবার রুশ বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে কিংবা হবে বলে মনে করছেন অনেক টুইটার ব্যবহারকারী৷ #WorldWarIII ও #WorldWar3 ব্যবহার করে তাঁদের অনেককেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে৷

জেডএইচ/এসবি (এএফপি, এপি)