1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ'

এমিলি শেরউইন/এসি২৫ এপ্রিল ২০১৪

জেমস বন্ডের যুগ যে কোনো দিন শেষ হয়নি এবং ঠাণ্ডা লড়াইও যে চলেছে বেশ খোশমেজাজেই, তার প্রমাণ পাওয়া গেল জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে৷

https://p.dw.com/p/1Bnvn
Symbolbild digitale Überwachung
ছবি: Evgeniya Ponomareva - Fotolia.com

পোশাকি নাম ফেডারাল সংবিধান সুরক্ষা কার্যালয়৷ আসলে এটা হলো জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা৷ আরো সহজ করে বললে দেশটির অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর বিভাগ৷ তাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বার্লিনে রাশিয়ান এজেন্টরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যাপক গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছেন৷

জার্মান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা বা বিএফভি-র প্রধান হান্স-গেয়র্গ মাসেন একটি জার্মান পত্রিকাকে বলেছেন: ‘‘জার্মানিতে গোপন খবর সংগ্রহে রাশিয়া যতটা আগ্রহী, ততটা আর কোনো গুপ্তচর বিভাগ নয়৷''

রুশ এজেন্টরা সাধারণত বার্লিনের রুশ দূতাবাসে কর্মরত, অর্থাৎ তাঁদের সবার কূটনৈতিক পদমর্যাদা আছে, যে কারণে তাঁরা জার্মান আইনের এক্তিয়ার বহির্ভূত: জার্মান সরকার বড়জোর তাঁদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা' বা পিএনজি, অর্থাৎ অবাঞ্ছনীয় ব্যক্তি ঘোষণা করে বহিষ্কার করতে পারেন৷ বার্লিনের রুশ দূতাবাসের এক-তৃতীয়াংশ কর্মী নাকি বস্তুত গুপ্তচর, বলে জানিয়েছে বিএফভি৷

রংরুট

কিন্তু গুপ্তচর রাখলেই তো হলো না৷ তাঁরা যাঁদের কাছ থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করবে, সেই ধরনের মানুষ থাকা চাই এবং এজেন্টদের তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা চাই৷ রুশ বিদেশি গুপ্তচর সেবার সদস্যরা কূটনীতিক সেজে বার্লিনে আসার পর তথ্য সংগ্রহে যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকেন, তার নাম হলো ‘‘হাফ-ওপেন প্রকিওরমেন্ট'' বা ‘আধখোলা রংরুট'৷

Bundestag Haushaltsdebatte 8. April 2014
বার্লিনে রাশিয়ান এজেন্টরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যাপক গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছেনছবি: picture-alliance/dpa

রুশ গুপ্তচররা তাঁদের নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎ করে থাকেন৷ তাঁরা যাঁদের সঙ্গে এইভাবে আলাপ করে থাকেন, তাঁরা হলেন সাধারণত বিজ্ঞানী, কিংবা কোনো এনজিও-র কর্মকর্তা – এছাড়া রাজনীতিক ও জার্মান সাংসদ ও তাঁদের কর্মচারি৷ রুশ তরফ থেকে এভাবে নাকি প্রতিবছর শ'খানেক জার্মান বিশেষজ্ঞকে ‘রংরুট' করার চেষ্টা করা হয়৷ অবশ্য এই রংরুটদের ‘ডাবল এজেন্ট' বললে ভুল করা হবে৷

জার্মান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা জানাচ্ছে যে, রুশ তরফ বিশেষ করে ‘‘জার্মান জ্বালানি শক্তি শিল্প'' এবং কয়লা ইত্যাদি জ্বালানির দাম কিভাবে বাড়বে-কমবে, তার খোঁজখবর পেতে আগ্রহী৷ অবশ্য পশ্চিম ইউরোপ তথা জার্মানিতে রুশ গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাস অনেক দশকের – শুধু রুশ দূতাবাসগুলিই নয়, ঠাণ্ডা লড়াইয়ের আমলে ওয়ারশ জোটের সব দেশগুলির দূতাবাসই গুপ্তচরে ভরা থাকত৷ বলতে কি, দূতাবাস বলতেই তা-তে কিছু সংখ্যক ‘স্পাই' থাকবে: এ প্রথা চলে আসছে সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আমল থেকে৷

আবার ঠাণ্ডা লড়াই আর গুপ্তচরবৃত্তি বলতেই ম্যাড ম্যাগাজিনের সেই সুবিখ্যাত কার্টুন সিরিজ ‘স্পাই ভার্সাস স্পাই'-এর কথা মনে পড়তে বাধ্য৷ সে পরিস্থিতির কতটুকুই বা পরিবর্তন ঘটেছে? ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ভাবসাব যদি ঠাণ্ডা লড়াইয়ের দিনগুলোর মতো হয়, তাহলে মার্কিন তরফে এনএসএ কেলেঙ্কারির কথাও ভুললে চলবে না৷ এই বার্লিনের মার্কিন দূতাবাস থেকেই খোদ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মোবাইল ফোনের উপর আড়ি পাতা হয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য