1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটো-র ক্ষমতা পরীক্ষা

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ন্যাটো-র ক্ষমতা পরীক্ষা করতে রাশিয়া বাল্টিক সাগর অঞ্চলের কোনো দেশে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই সামরিক জোটের প্রাক্তন মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন৷ ইউক্রেন সংকট এভাবে বড় আকার নিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1EWRd
Ostukraine Krise Kämpfe bei Wuhlehirsk
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Braydov

ব্রিটেনের ‘দ্য টেলিগ্রাফ' সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাসমুসেন বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে ন্যাটো-র সনদে ‘আর্টিকেল ৫' অনুযায়ী বাকি সদস্য দেশগুলি আক্রান্ত দেশের পাশে দাঁড়াতে কতটা তৎপর হবে, পুটিন সেটা পরখ করে দেখতে চাইতে পারেন৷ জোট হিসেবে ন্যাটো রাশিয়াকে পরাস্ত করার ক্ষমতা রাখলেও ইউরোপের নিজস্ব সামরিক ক্ষমতা এই মুহূর্তে বেশ দুর্বল বলে তিনি স্বীকার করেন৷

এদিকে ইউক্রেন সংকটের সামরিক সমাধানের মূল্য কী মারাত্মক হতে পারে, সে বিষয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব যথেষ্ট সচেতন৷ ফলে কূটনৈতিক তৎপরতাও জারি রয়েছে৷ তবে দুই পক্ষের মুখরক্ষা করে এমন সমাধানসূত্রে আশা বেশ কঠিন৷

NATO-Gipfel in Newport (Anders Fogh Rasmussen)
ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব রাসমুসেনছবি: picture-alliance/dpa/Y. Valat

এখনো পর্যন্ত যাবতীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ কাগজে-কলমে শান্তির বিষয়ে কিছু বোঝাপড়া সত্ত্বেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি৷ ফলে পারস্পরিক আস্থা আরও কমে গেছে, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ চলতি সপ্তাহান্তে আরও একদফা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে৷

একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ কিয়েভ হয়ে মস্কোয় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ অন্যদিকে জার্মানির মিউনিখ শহরে বাৎসরিক নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন সংকট সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি কিয়েভ সফরে গিয়ে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সেনাবাহিনীর ভারি সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ তিনি বলেন, পোরোশেঙ্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের জন্য আরও স্বায়ত্তশাসন, সাংবিধানিক সংস্কার এবং ডনবাস অঞ্চলে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন৷ এমনটা করতে পারলে ইউক্রেনের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর মতে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের ক্ষেত্রে সংস্কারই সবচেয়ে বড় অস্ত্র৷

Panorama Riga
রিগা’র দৃশ্য: বাল্টিক নিয়ে চিন্তিত রাসমুসেনছবি: DW/G. Gelzis

ম্যার্কেল ও ওলঁদ যে সমাধানসূত্র তুলে ধরছেন, তার মূলমন্ত্র হলো – ইউক্রেনের ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে হবে৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে মিনস্ক শহরে ইউক্রেন সরকার ও রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই নতুন প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে৷ দুই পক্ষই অবশ্য বার বার সেই সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে৷

মার্কিন ও ইউরোপীয় কূটনৈতিক তৎপরতার ক্ষেত্রে অবশ্য ঐক্য ও সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ছে৷ শান্তিপূর্ণ সমাধান ব্যর্থ হলে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে বড় মাত্রায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চায়৷ অন্যদিকে ম্যার্কেল এমন পদক্ষেপের ঘোর বিরোধী৷ আগামী সোমবার ম্যার্কেল ওয়াশিংটন সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য