রাশিয়ায় আবারো জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা, হত ১২
৩১ মার্চ ২০১০সোমবারের জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৯ জনের প্রাণহানির পর রাশিয়া জুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ কিন্তু এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে দাগেস্তানের কিজলিয়ার শহরে ২০ মিনিটের ব্যবধানে বিস্ফোরিত হলো দু'দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা৷ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল পুলিশ৷
দুটি হামলাই হয় দিনের প্রথমভাগই, একই স্থানে৷ দাগেস্তানের কিজলিয়ার শহরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে পুলিশ নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসাবে যখন বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে দেখছিল, ঠিক সেখানেই একটি গাড়িতে বসেছিল আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী৷ তাকে বেরিয়ে আসতে বলার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয় সে৷ বোমার আঘাতে উড়ে যায় আশেপাশের গাড়ি এবং মানুষজন৷ এরপরের ঘটনাটি ঘটে ঠিক একই স্থানে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে৷ পুলিশের সদস্যরা তখন ঘটনাস্থল পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিল, সেখানেই পুলিশের পোশাক পরে থাকা অপর আত্মঘাতী হামলাকারী শরীরের সাথে বেঁধে রাখা বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়৷ জোড়া হামলার এই ঘটনায় মারা যায় স্থানীয় পুলিশ প্রধানসহ ৯ পুলিশ সদস্য৷ দুই আত্মঘাতীসহ মারা যায় আরও তিনজন৷ আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৩ জন৷
রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাশিদ নুরগালিয়েভ এই ঘটনার পর দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আজকের এই সন্ত্রাসী ঘটনা দেখে এটাই প্রতীয়মাণ হচ্ছে যে সন্ত্রাসীরা সব কিছুই তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে৷ ফলে সজাগ থাকুন!''
এদিকে, রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন বুধবারের এর জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনার পর বলেছেন, মস্কো এবং দাগেস্তানে বোমা হামলার সঙ্গে একই সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে৷ সরকারি এক সভায় দেয়া তাঁর এই বক্তব্য প্রচার করে রুশ টেলিভিশন৷
ঐ সভায় তিনি বলেন, ‘‘এই দুই ঘটনা একই দল করেছে এমন সন্দেহের বিষয়টি আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘এই হামলা কোথায় ঘটেছে, সেটা মস্কোতে হয়েছে নাকি দাগেস্তানে হয়েছে, কট্টর খ্রিষ্টান নাকি মুসলিম নাকি অন্য কোন ধর্ম বিশ্বাসীদের উপর হয়েছে, সেটা কোন বড় কথা নয়৷ বড় কথাটি হলো এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷'
বিশেষ বাহিনী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে জানান রুশ প্রধানমন্ত্রী৷ অবশ্য এখনো পর্যন্ত কোন দল বা গ্রুপ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক