1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার সঙ্গে স্টার্ট চুক্তি অনুমোদন করলো মার্কিন সেনেট

২৩ ডিসেম্বর ২০১০

রাশিয়ার সঙ্গে সই হওয়া স্টার্ট চুক্তি অনুমোদন করলো মার্কিন সেনেট৷ এটাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটা জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ তবে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার জন্য এখন রাশিয়ার সাংসদদের অনুমোদন পেতে হবে৷

https://p.dw.com/p/zoc5
ওবামা ও মেদভেদেভ এপ্রিলে চুক্তিটি সই করেনছবি: AP

স্টার্ট চুক্তিটা কী

স্টার্ট মানে এসটিএআরটি-র পুরোটা হলো স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি৷ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর চুক্তি এটি৷ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ১৯৯১ সালে চুক্তিটি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ বিশ্বে যত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তার প্রায় ৯০ শতাংশই আছে এই দুটি দেশের কাছে৷ ফলে নব্বই দশকের শুরুতে যখন স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হলো তখন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে চুক্তিটি সই করা হয়েছিল৷ আর এবারের চুক্তিটাকে বলা হচ্ছে নতুন স্টার্ট চুক্তি৷ এবছরের এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ স্বাক্ষর করেন এতে৷ তবে চুক্তি কার্যকর করার জন্য দুদেশের সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন৷ তারই একটা প্রক্রিয়া শেষ হলো আজ মার্কিন সেনেটে পাশের মধ্য দিয়ে৷ এখন প্রয়োজন রাশিয়ার অনুমোদন৷

চুক্তিতে কী আছে

দুই দেশই ওয়ারহেডের সংখ্যা ১,৫৫০-এ নামিয়ে আনবে৷ এবং সেটা আগামী সাত বছরের মধ্যেই৷ আর মিসাইল লঞ্চারের সংখ্যা কমিয়ে ৭০০ করবে৷ এছাড়া দুদেশের কর্মকর্তারা একে অপরের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারবেন৷

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে তিনি জানান, রাশিয়াতে অনুমোদনের আগে চুক্তিটি ভালভাবে পড়ে দেখা হবে৷ কারণ শেষ মুহূর্তে মার্কিন সেনেটরার চুক্তির কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছেন৷ লাভরভ বলছেন, ঐ বিষয়গুলো ভালভাবে দেখে বুঝে তারপর অনুমোদন দেয়া হবে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলছেন, এর ফলে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া হলো৷ তিনি আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অস্ত্রের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেও মার্কিন সেনেটের অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তিনি বলেন এর ফলে প্রেসিডেন্ট ওবামা যে সত্যি সত্যিই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত একটা বিশ্ব চাইছেন সেটা আবারও প্রমাণ হলো৷ তিনি চুক্তিটিকে তাড়াতাড়ি অনুমোদন করার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান৷ এদিকে মার্কিন সেনেটর জন কেরি মনে করেন, এই চুক্তি উত্তর কোরিয়া ও ইরানের কাছে একটা পরিস্কার বার্তা পাঠিয়ে দেবে৷ যেটা থেকে তারা বুঝতে পারবে, আইনের বাইরে গিয়ে যারা পরমাণু শক্তিধর হতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম