রাফায়েল শেনুই আজানের সাক্ষাৎকার
৩ মার্চ ২০১০মৃত্যুদণ্ড রোধে চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য কি ?
‘‘প্রতি তিন বছর পরপর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হল যে সব সংগঠন মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা করা৷ একই সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্র, তাদের প্রতিনিধি এবং কূটনীতিকদের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড নির্মূলের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা৷ যেসব সংগঠন ভারত, অ্যামেরিকা এবং চীনে কাজ করছে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা৷''
এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে কি অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে ?
‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য দু'টি৷ প্রথমত আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে নিয়ে আসা৷ সবাইকে একটি লক্ষ্যে, একটি কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে কাজ করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে আরো বেশি সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করা৷ তাদের সঙ্গে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সম্পর্ক আরো নিবিড় করা৷ এখানে বলতে হচ্ছে মরক্কো এবং আরব দেশগলোর সঙ্গে একজোট হয়ে আমরা কাজ করছি৷''
এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বে কোন বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ?
‘‘আমাদের মূল বার্তা ছিল - প্রতিটি মানুষকে জানানো, বোঝানো - হ্যাঁ আমরা মৃত্যুদন্ড নির্মূল করতে পারি৷ আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ড পুরোপুরি নির্মূল করা৷ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এটি সম্ভব৷ যদি আমরা একযোগে এ বিষয়ে দৃঢ় থাকি তাহলে আমরা মৃত্যুদণ্ড নির্মূল করতে পারবো৷ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার পূর্ণ সহযোগিতা আমাদের কাম্য৷ ইউরোপ, অ্যামেরিকা দক্ষিণ আমেরিকা - সব মহাদেশ থেকেই আমরা সহযোগিতা আশা করছি৷''
সম্মেলনে এমন অনেক দেশ উপস্থিত ছিল- যে সব দেশে মৃত্যুদণ্ড প্রথা প্রচলিত৷ তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল ?
সত্যি কথা বলতে কি - তাদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি৷ অ্যামেরিকা, জাপানসহ বেশ কিছু আরব দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন৷ তাঁরা অনেক কিছু জেনেছেন, শুনেছেন এবং জানিয়েছেন৷ আজ বা আগামীকালের মধ্যেই হয়তো মৃত্যুদণ্ড এই দেশগুলো থেকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না তবে আমরা আশা করতে পারি যে এই সম্মেলন থেকে দেশগুলো প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তাদের নিজ দেশে বয়ে নিয়ে যাবে৷ আলোচনা করবে৷ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মৃত্যুদণ্ড নির্মূলে সোচ্চার হবে৷
প্রতিবেদক : মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদক : আবদুল্লাহ আল-ফারূক