1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক বিচারে একটি কণ্টকিত সফর

৩০ মার্চ ২০১০

অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের চলতি তুরস্ক সফর আশঙ্কার চেয়ে কম কণ্টকিত হচ্ছে বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷ দু’পক্ষই তাদের সুরকে যতোটা সম্ভব নরম রাখছে৷

https://p.dw.com/p/MhQx
ছবি: AP

জার্মান-তুর্কি সম্পর্কের একটা বড় উপাদান আদৌ তুরস্কে নয়, বরং জার্মানিতে৷ এবং সেটা হল জার্মানিতে প্রায় ২৫ লক্ষ তুর্কি বংশোদ্ভূতদের উপস্থিতি৷ কাজেই ম্যার্কেলের সফর শুরু হবার আগেই তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাঈপ এর্দোয়ান একটি কামান দেগে বসেন এই বলে যে, তুরস্কে যদি জার্মান স্কুল হতে পারে, তবে জার্মানিতে তুর্কি স্কুল হবে না কেন? অথচ জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কি এবং তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিকদের জার্মান সমাজে অঙ্গীভূত করার যাবতীয় সরকারি প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগের মূলমন্ত্র হল যে, তুর্কিদের আরো ভালোভাবে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, নয়তো তারা এই সমাজে তাদের স্থান করে নিতে পারবে না৷

Flash-Galerie Angela Merkel 2005 Leitkultur
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (ফাইল ফটো)ছবি: AP

সত্তার প্রশ্ন, এবং সদস্যতারও

এর্দোয়ান হঠাৎ এ' ধুয়ো তোলেননি, ইতিপূর্বেও তিনি জার্মানির তুর্কিদের নিজেদের জাতীয় সত্তা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন – এবং সে জাতীয় সত্তা বলতে সংশ্লিষ্টদের তুর্কি সত্তাই বোঝায়৷ কিন্তু দীর্ঘ চার বছর পরে ম্যার্কেলের আংকারা যাত্রার অব্যবহিত পূর্বে এ'রকম একটি সমস্যাকর বিষয় উত্থাপনের একটি কারণ এই হতে পারে যে, এর্দোয়ান তুরস্কের পক্ষে অপর একটি অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ম্যার্কেলের কাছ থেকে কিছুটা নমনীয়তা প্রত্যাশা করেন – এবং তা হল তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যতা পাওয়ার প্রশ্নে৷

অজান্তে অপমান

ম্যার্কেল তুরস্কের পূর্ণ সদস্যতার বিরোধী এবং পরিবর্তে একটি একটি বিশেষ সুবিধাযুক্ত সহযোগী পদমর্যাদার কথা বলে থাকেন৷ কিন্তু তা যে এর্দোয়ানের কাছে নিছক অপমান বলে মনে হতে পারে, তা ম্যার্কেলের দৃশ্যত অজ্ঞাত ছিল৷ তাই তাঁকে বলতে শোনা গেছে: ‘‘এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে, বিশেষ সুবিধাযুক্ত সহযোগী বস্তুটির তুরস্কে কোনো সদর্থ, কোনো আকর্ষণীয় কিছু নেই৷ আমরা কিন্তু ওটাকে ইইউ-এর সঙ্গে একটি বিশেষ সম্পর্ক, অন্যান্য দেশের তুলনায় একটি উন্নততর সম্পর্ক বলেই দেখাতে চেয়েছি৷ তবুও আমি বলছি, প্রক্রিয়াটির ফলাফল আগে থেকেই নির্দ্দিষ্ট নয় – এবং জার্মান সরকার এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমর্থন করে৷''

Recep Tayyip Erdogan
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাঈপ এর্দোয়ান (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মোট কথা, সোমবার ম্যার্কেল এবং এর্দোয়ান হয়তো পরষ্পরের প্রতি শিষ্টাচারের মাধ্যমে তাঁদের পারষ্পরিক পরিবেশেরই উন্নতি ঘটাতে চেয়েছেন, কেননা ব্যবধান দুস্তর: জার্মানিতে তুরিক ভাষার স্কুল, তুরস্কের ইইউ সদস্যতা, ইরানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না কূটনীতি, কোনটা শ্রেয়, ইত্যাদি প্রশ্নে তো বটেই, এমনকি ১৯১৫ সালে আর্মেনীয়দের উপর তুর্কি গণহত্যার ব্যাপারেও দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য আছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম