জঙ্গিদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা
৭ মার্চ ২০১৪
বৃহস্পতিবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গি তত্পরতা কঠোর হতে দমন করা হবে৷ আর যারা জঙ্গি ও অপরাধীদের সঙ্গে হাত মেলাবে তাদেরও কঠোর শাস্তি পেতে হবে৷ সে যে পর্যায়ের ব্যক্তিই হোক, দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না৷'' তিনি পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জঙ্গিদের ব্যাপারে আরো তত্পর হতে বলেন৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের সে স্বপ্ন সফল হবে না৷ তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে৷''
গত মাসে ‘প্রিজনভ্যান'-এ হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং তিনজন জেএমবি জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার পর, বাংলাদেশে জঙ্গি তত্পরতার বিষয়টি আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ ঘটনার তদন্তে পুলিশ এবং কারা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে৷ এমনকি পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের নাকি কারাগারে এবং প্রিজনভ্যানে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলারও সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ তাই প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রশাসনে যেমন জঙ্গিদের সহযোগী আছে তেমনি তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকও আছে৷ তাই জঙ্গি দমন সহজ নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখনো কম-বেশি ৪০টির মতো জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয়৷ এরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক সমর্থন পায়৷ তাই তাদের রাজনৈতিক সমর্থন যতদিন থাকবে, ততদিন শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে তাদের দমন করা সম্ভব হবে না৷
ব্রিগেডিয়ার রশীদ বলেন, জঙ্গি দমনে তাই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং ঐক্য প্রয়োজন৷ সব রাজনৈতিক দল যদি একমত হয়, একমাত্র তবেই তাদের দমন সম্ভব৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগও প্রমাণিত৷ বিশেষ করে আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের অনুসারীরা এখানে রয়েছে৷ আল-কায়েদার সাম্প্রতিক হুমকি তারই প্রমাণ৷তাই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সচেতনতা৷ তথ্য বিনিময় করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে৷