বিমান ছিনতাই
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪বৈমানিকের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ তবে সুইস পুলিশ জানিয়েছে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট এই বৈমানিক বিমানের মূল পাইলটকে টয়লেটে আটকে ফেলেন৷ এরপর বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেনেভা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি৷ অথচ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে বিমানটি রোমে যাওয়ার কথা ছিল৷
বিমান ছিনতাইকারী বৈমানিক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, নিজের দেশে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে৷ এ জন্য তিনি সুইজারল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র এরিক গ্র্যান্ডজিয়ান৷
এদিকে, বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটির সকল যাত্রী এবং ক্রু নিরাপদে রয়েছেন৷ বিমানটিকে জোর করে জেনেভা বিমানবন্দরে অবতরণ করায় ছিনতাইকারী৷ সেসময় বিমানটিতে দু'শো যাত্রী এবং ক্রু অবস্থান করছিলেন৷
১৯৮৩ সালে জন্ম নেয়া বৈমানিক সুদানের আকাশসীমায় অবস্থানকালে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়৷ এরপর তেল নেয়ার জন্য জেনেভা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি৷ বন্দরের সঙ্গে আলোচনাকালে বিমানটি ছিনতাইয়ের কথাও জানান তিনি৷ সুইস পুলিশের মুখপাত্র এরিক গ্র্যান্ডজিয়ান জানান, স্থানীয় সময় ভোর ছায়টা দুই মিনিটে জেনেভায় অবতরণ করে বিমানটি৷ এরপর ছিনতাইকারী ককপিটের জানালা দিয়ে একটি দড়ির সাহায্যে রানওয়েতে নেমে যান৷
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীর কাছে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না৷ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ‘জিম্মি করার' অভিযোগ আনা হতে পারে৷ অভিযোগ প্রমাণ হলে বিশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার৷
বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেনেভা বিমানবন্দর কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও এখন আবার চালু করে দেয়া হয়েছে৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)