রাজনীতিতে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত
বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার: চিরকালের সেরা বন্ধু-স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বন্ধুত্ব দেখা যায়৷ কিন্তু বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে বন্ধুত্বের এমন দৃষ্টান্ত কমই আছে৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁদের কথা৷
ভ্লাদিমির পুটিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বন্ধুত্বপূর্ণ হ্যান্ডশেক করছেন৷ হামবুর্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে এটাই ছিল তাঁদের প্রথম বৈঠক৷ কিন্তু এই দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না৷ সকলের ধারণা ছিল তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব অত্যন্ত গাঢ়৷ (কারো কারো মতে একটু বেশিই)৷ কিন্তু সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন৷
বারাক ওবামা এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেল
বন্ধুত্বের জয় হোক! সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল একসাথে হেসেখেলে তাদের রাজনৈতিক সংকট সমাধান করেছেন৷ কেবল একটা ব্যাপার ছাড়া৷ যেসময় ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালীন ম্যার্কেল এবং তার সরকারের উপর নজরদারি করেছিল তাঁর প্রশাসন৷ বন্ধুত্বে এ সব ঠিক নয়, তাই না? কিন্তু ম্যার্কেল বন্ধুর এ অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং ওবামার দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার সময় ব্যথিত ছিলেন তিনি৷
জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং টোনি ব্লেয়ার
নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ যখন চরম সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখনও তাঁর পাশে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার৷ এমনকি ঐ ঘটনার পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন ও সহায়তা পেয়েছিলেন বুশ৷ নিজের দেশে চরম বিক্ষোভ সত্ত্বেও বুশের উপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নেননি ব্লেয়ার৷ একেই বলে বন্ধুত্ব!
হেলমুট কোল এবং জর্জ বুশ
জর্জ বুশ সিনিয়র তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের মধ্যে নিজের প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছিলেন৷ জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের স্থপতি বলা হয় কোলকে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না৷ ২০১৭ সালের জুনে যখন কোল মারা যান, সিনিয়র বুশ বলেছিলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে জার্মানির পুনরেকত্রীকরণ এবং শীতল যুদ্ধ বন্ধে কোলের মত বন্ধুর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জীবনের একটা বড় অর্জন ও সুখের মুহূর্ত৷’’
জ্যাকি কেনেডি এবং হিলারি ক্লিনটন
১৯৯৩ সালে হিলারির স্বামী বিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তারা যখন হোয়াইট হাউজে ওঠেন, সেই সময়টা হিলারির জন্য বেশ কঠিন ছিল৷ ফার্স্ট লেডি হওয়ার ছ’দিন পর তাই পরামর্শের জন্য সাবেক ফার্স্ট লেডি জ্যাকির শরণাপন্ন হন তিনি৷ সন্তানদের মানুষ করা, কাপড়, ফ্যাশান – এ সব নিয়ে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে কথা বলেন তাঁরা৷ হিলারি এখনো জ্যাকির একটা পরামর্শ মেনে চলেন৷ তাহল, ‘‘নিজের সত্ত্বাকে ঠিক রাখতে হবে৷’’