‘রাজধানীর চিত্র ভয়ানক, আচমকা দেখলে ভয় লাগে' | পাঠক ভাবনা | DW | 19.09.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘রাজধানীর চিত্র ভয়ানক, আচমকা দেখলে ভয় লাগে'

ঈদের দিন প্রবল বর্ষণে ঢাকায় কোরবানির পশুর রক্ত মিশে রাস্তাগুলো রক্তনদীতে পরিণত হয়েছিল৷ ইন্টারনেটে সেসব ছবি দেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু আমাদের অধিকাংশ পাঠকই বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি৷

রাস্তার পানিতে রক্তের ছবি দেখে পাঠক মাসুম খান বলছেন, ‘‘এটা বানানো ছবি৷ এমন কিছুই ঢাকার রাস্তায় হয়নি৷ একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পায়তারা করা হচ্ছে৷''

রাজন আহমেদের কথায়, ‘‘এই রক্ত পবিত্র কোরবানির, যা সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না৷ এতে শুধু ইসলামবিদ্বেষী কতিপয় মনুষের সমস্যা হবে৷''

পাঠক মজিবর রহমান বলছেন, ‘‘এটা নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা না করলেও চলবে৷ এটা দেশের সরকারের চিন্তার বিষয়৷'' তাঁর ধারণা, সবকিছুই নাকি ঠিক আছে৷

পাঠক ফজলে মনির চৌধুরীও ঠিক তাই মনে করেন৷ আর আবুল ফজল এ সব ছবিকে ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু হাই সাদাতেরও ঐ একই মত৷ এঁদের সঙ্গে তৌফিক হিমেল, আবদুর রাজ্জাকও যোগ দিয়েছেন৷

পাঠক হাবীব রহমান অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করেন৷ রাস্তার লাল জল তাঁকে আতঙ্কিত করেছে, যা তিনি লিখেছেন এভাবে, ‘‘রাজধানীর চিত্র ভয়ানক৷ আচমকা দেখলে ভয় লাগে৷''

বিপ্লব কুমারের কথায়, ‘‘দু-একশ' মানুষ মারা না গেলে ধর্মের নামে নোংরামি বন্ধ হবে না৷''

ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাতায় পাঠক হেদায়েত আমড়ার বক্তব্য, ‘‘ঢাকার অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্যই এ সব হয়েছে৷'' তবে বন্ধু হেদায়েত আমড়া মনে হয় কোনো কারণে ডয়চে ভেলের ওপর খানিকটা বিরক্ত, অন্তত তাঁর মতামত দেখে তাই মনে হচ্ছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দুর্গাপূজার বিসর্জনের পরও দেশের নদী-নালা দূষিত হয়, অথচ তখন ডয়চে ভেলে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করে না৷''

অন্যদিকে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু পরিবেশবাদীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘প্রশ্ন একটাই, এখন সুন্দরবন বাঁচানোর পরিবেশবাদীরা কোথায় ?''

‘‘দিন দিন আমদের নৈতিকতা কত নীচে নেমে যাচ্ছে'' – ঢাকার রাস্তায় রক্ত দেখে এসএইচ শুভ এই মন্তব্য করেছেন৷

আবার রাস্তায় এই লাল পানি সম্পর্কে পাঠক মো. হানিফের ধারণা, ‘‘এ সবই নাকি ফটোশপের কারসাজি৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন