রমজান মাসে বিশ্বজুড়ে যেসব সন্ত্রাসী হামলা
২০১৬ সালের রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরাক, বাংলাদেশ, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি স্থানে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অনেকে৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব ঘটনার কথা৷
বাংলাদেশ
রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে ১ জুলাই রাতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়৷ এর পরদিনই ছিল শব-এ কদর৷ ঐ হামলায় ১৮ বিদেশিসহ ২৮ জন নিহত হয়৷ এর মধ্যে ৫ জন জঙ্গি৷ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এটাই প্রথম ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা৷
ইরাক
রমজান মাসের শেষের দিকে ৩ জুলাই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ শহরের কেন্দ্রস্থলে কারাদা এলাকায় জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে৷ সেই আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷
যুক্তরাষ্ট্র
১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে ওমর মতিন নামে এক তরুণ সমকামীদের নৈশক্লাবে ঢুকে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার ঘটনায় স্তব্ধ হয় পুরো বিশ্ব৷ এক্ষেত্রেও জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস ঘটনার দায় স্বীকার করে৷
তুরস্ক
২৮ জুন রাতে তিনজন আত্মঘাতী বোমারু ইস্তানবুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে ঢুকে সুইসাইড বেল্ট ফাটানোর আগে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়৷ এতে নিহত হয় ৪২ জন৷
ইয়েমেন
২৮ জুন ইয়েমের আল মুকাল্লায় আটজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সাতটি ভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে৷ আইএস এ সব হামলার দায় স্বীকার করলেও, সরকার এ পিছনে আল-কায়েদার হাত রয়েছে বলে ধারণা করছে৷
সৌদি আরব
৪ জুলাই, ঈদ-উল-ফিতরের মাত্র ১ দিন আগে, মুসলিম দুনিয়ার দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান, নবী মোহম্মদের মসজিদের কাছে ইফতারের সময় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় আততায়ী ছাড়া চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন৷ এদিন কাতিফ ও জেদ্দাতেও আক্রমণ ঘটে৷
ফ্রান্স
১৩ জুন, রমাজন মাসের সপ্তম দিন প্যারিসের উপকণ্ঠে মানিয়ঁভিল শহরে একই পরিবারের দুই সদস্যকে হত্যা করে এক আততায়ী৷ এক্ষেত্রেও জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করে৷ পুলিশের গুলিতে অবশ্য সেই আততায়ীর মৃত্যু হয়৷