1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ জুন ২০১৪

রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে৷ সরকারের মনিটরিং, ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি – কোনো কিছুই কাজে আসছে না৷ বিশেষ করে ইফতারির জন্য প্রয়োজনীয় সবজিসহ নানা উপকরণের দাম এখন লাগামছাড়া৷

https://p.dw.com/p/1CSXy
Iftar Ramadan in Dhaka Bangladesch
ছবি: picture-alliance/dpa

দাম বাড়ার এই হিসাব অবশ্য খাটছে না বেগুনের ক্ষেত্রে৷ রামজানের শুরুতেই বেগুনের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ শতকরা ১৫০ ভাগ৷ দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এটা রেকর্ড৷ দু'দিন আগেও প্রতি কেজি বেগুনের দাম ছিল ৪০ টাকা৷ এখন তা হয়েছে ১০০ টাকা৷ বলা বাহুল্য, এই বেগুনই ইফতারির অত্যাবশ্যক আইটেম বেগুনি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়৷

একই সঙ্গে পিয়াঁজ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা, লেটুস পাতা, কুমড়া, শসা, লেবু – এ সবের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে৷মাছ-মাংসের দামও হঠাৎ করে বেড়ে গেছে৷ কারওয়ার বাজারের কাঁচামাল আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাষ্টার বলেন, ‘‘এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা রোজার মাসে হঠাৎ করেই বেড়ে যায়৷ তাই দামও বেড়ে যায়৷ তিনি দাবি করেন, এর সঙ্গে টানা বৃষ্টির কারণেও এ সব কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে৷ তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে এগুলির সরবরাহ কম৷''

বাজারে ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে শতকরা ১০ ভাগের মতো৷ বলা বাহুল্য, রমজানের পুরোমাসই এই দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে৷ বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদও মনে করেন, চাহিদা বাড়ার কারণেই দাম বাড়ছে৷ তবে তিনি জানান, ‘‘অযৌক্তিক দাম বাড়ানো প্রতিরোধে ১৪টি মনিটিরিং কমিটি রোজার আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে৷''

ঢাকার হাতিরপুল কাঁচাবাজারে আমিনুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, মনিটরিং কমিটি কোনো কাজ করছে বলে তাঁর কাছে মনে হয় না৷ বাজারে তাঁদের তৎপরতা দেখা যায় না৷ যদি তাঁরা তৎপর থাকতেন, তাহলে ৪০ টাকার বেগুন দু'দিনের ১০০ টাকা হয় কি করে?

রোজায় পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বিক্রেতাদের দায়ী করেন৷ কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মনোয়ার বলেন, ‘‘আমরা বেশি দামে কিনি বলেই বেশি দামে বিক্রি করি৷ পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না৷'' তিনি দাবি করেন, ‘‘বেগুন, কাঁচামরিচসহ ইফতারির জন্য সবচেয়ে বেশি যেসব পণ্যের চাহিদা, তা হিমাগারে রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে৷''

সরকার গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ, বেগুন, কুমড়া ও লেবুসহ পাঁচটি পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয় রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে৷ কিন্তু তাতেও কোজ কাজ হয়নি৷ কারণ সিন্ডিকেট করে এগুলোর দাম বাড়ানো হচ্ছে কলে খুচরা বিক্রেতারা জানান৷

এদিকে বাণ্যিজ্যমন্ত্রী তেফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কথা না৷ কারণ ব্যবসায়ী নেতারা দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রতি দিয়েছেন৷'' তিনি বলেন, ‘‘বাজার মনিটরিং কমিটি কাজ করছে৷ তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য