রবীন্দ্র-সার্ধশতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে বার্লিনেও
২২ মে ২০১১‘‘আমার অস্তিত্বে তুমি ঈশ্বরের মতো'', ---- লিখেছেন বাংলাদেশের কবি জিয়া হায়দার৷ ১৯৬১ সালে৷ রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষে৷ রবীন্দ্রনাথ প্রত্যেক বাঙালির মননবোধেই জাগ্রত৷ এই জাগরণে, রবীন্দ্র-সার্ধশতবর্ষ আলোকিত৷ আলোকে, বার্লিনেও নানা অনুষ্ঠানাদি৷
রবীন্দ্রগীতিনাট্য, গানের অনুষ্ঠান৷ রবীন্দ্রচিত্রকলা, ফটোগ্রাফস, বই, হস্তলিপি প্রদর্শিত৷ রবীন্দ্র-কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী৷ বক্তৃতা৷ আলোচনা৷ আলোচক বহু জার্মান রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ, অনুবাদক, প্রকাশক৷
বার্লিনে, রবীন্দ্রনাথের নামে পাঙ্কো জেলায় রবীন্দ্রনাথ টাগোরেস্ট্রাসে বা সড়কে রবীন্দ্রনাথের নামেই বৃক্ষরোপণ৷ বৃক্ষের নামকরণ: টাগোরে বাউম৷
বার্লিনের অ্যান্টি-ক্রিগ মিউজিয়াম তথা যুদ্ধবিরোধী যাদুঘরেই, রবীন্দ্রজন্মসার্ধশতবর্ষে প্রথম অনুষ্ঠানমালার আয়োজন৷ মে-র ৩ তারিখ থেকে৷ চলবে মাসব্যাপী৷ যাদুঘরের পরিচালক বলেন, রবীন্দ্রনাথই আসলে
বিশ্বের অহিংস, শান্তিদূত৷ তাঁর কবিতায়৷ তাঁর গানে৷ তাঁর লেখায়৷ তাঁর ভাষণে৷
হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট (উপাচার্য) ডক্টর-প্রফেসর পেটার নাগেল জানান, রবীন্দ্রসার্ধশতবর্ষে আমাদের সম্পৃক্ততা ঐতিহাসিক৷ রবীন্দ্রনাথ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৯২১ সালে৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান বলেন, জার্মানদের মধ্যে কবিগুরুকে নানা ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি নানা অনুষ্ঠানমালায়৷
বহুমান্য কবি, প্রাবন্ধিক অলোকরঞ্জ দাশগুপ্ত বার্লিনের রবীন্দ্রানুষ্ঠানে বলেন, রবীন্দ্রনাথকে আমার সমকালীন কবি হিসেবেই দেখবার চেষ্টা করেছি৷ যদিও, তিনি আমার গুরুপ্রতিম, বিরাট ব্যক্তিত্ব৷ তিনি আমাদের সর্বকালীন৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক