রজার মুর পরলোকে
জেমস বন্ড থেকে শুরু করে সাইমন টেম্পলার – সব ক’টি ভূমিকাতেই রজার মুর অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ হিউমার আর আয়রনির সঙ্গে৷ সেটাই তাঁকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে৷
স্টাইল
জন্ম সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে৷ আসলে চিত্রকর হতে চেয়েছিলেন রজার মুর, কিন্তু বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা বাধ সাধে৷ ১৯৫৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তিনি – তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু সেই মার্কিন মুলুকেই, যদিও ব্রিটিশ জেন্টলম্যানের ইমেজটি তাঁকে কোনোদিন ছাড়েনি৷
সাইমন টেম্পলার অথবা দ্য সেন্ট
‘সন্ত’ ছদ্মনামে সাইমন টেম্পলার নামের এক ব্রিটিশ ভদ্রলোক সারা দুনিয়ায় দুর্নীতিপরায়ণ শাসক ও মাদক পাচারের হর্তাকর্তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যান, সেই সঙ্গে রবিন হুডের কায়দায় সুন্দরী নারীদের বিপদ থেকে উদ্ধার করে থাকেন৷ ১৯৬২ সালে তৈরি এই টিভি সিরিজটি বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে সম্প্রচারিত হয়েছে৷ মুরের খ্যাতির সূচনা এই সিরিজ থেকেই৷
‘দ্য পার্সুয়েডার্স’
একদিকে অভিজাত লর্ড ব্রেট সিনক্লেয়ার (মুর, বাঁ দিকে), অন্যদিকে মার্কিন প্লে-বয় ড্যানি ওয়াইল্ড (টোনি কার্টিস, ডান দিকে)– এই দু’জনের অভিনীত ‘দ্য পার্সুয়েডার্স’ সিরিয়ালটি তৈরি হয় ১৯৭০ সালে৷ জার্মানিতে সিরিজটির নাম ছিল ‘ডি ৎসোয়াই’ বা ‘ওরা দু’জন’; এখানেও সিরিজটি বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল৷
‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই’
এজেন্ট জিরো-জিরো-সেভেন-এর ভূমিকায় রজার মুরই প্রথম খাঁটি ইংলিশম্যান৷ ১৯৭৩ সালে সন কনারির জায়গায় জেমস বন্ড হন রজার মুর৷ সেই সঙ্গে বন্ডের সিনে চরিত্রেও কিছু কিছু রদবদল হয়: সিগারেটের বদলে সিগার, মার্টিনির বদলে বার্বন, কিছুটা ব্রিটিশ হিউমারের সঙ্গে মেশানো৷
‘মুনরেকার’
রজার মুর অভিনীত দ্বিতীয় জেমস বন্ড ছবি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে৷ ছবির প্রেক্ষাপট হলো ভেনিস, রিও ডি জানিরো এবং মহাশূন্য৷ একটি মার্কিন মহাকাশ ফেরির অপহরণের তদন্ত করতে গিয়ে জেমস বন্ডকে মহাকাশযাত্রা করতে হয়৷
ওয়াক অফ ফেম
২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে হলিউডের ওয়াক অফ ফেম-এর স্বীকৃতি পান রজার মুর৷ তার আগেই ২০০৩ সালে তাঁকে জার্মানির ফেডারাল ক্রস অফ মেরিট-এ ভূষিত করা হয়৷ সে বছরই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে নাইট উপাধি প্রদান করেন৷ ১৯৮০ সালে রজার মুর একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন ‘ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেবারিট’ হিসেবে৷
ইউনিসেফ-এর দূত
১৯৯১ সাল পর্যন্ত রজার মুর ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডার ছিলেন৷ শেষ জীবনে সেটাই তাঁর মূল কাজ হয়ে দাঁড়ায়৷ ইউনিসেফ তাঁকে সারা বিশ্বের শিশুদের ‘খাঁটি বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছে৷