1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনছে মিক্সড রিয়ালিটি

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কল্পবিজ্ঞান নয়, আজ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি মানুষের হাতের মুঠোয় এসে গেছে৷ টেলিফোন আর ভিডিও কলের পর থ্রিডি প্রযুক্তির দৌলতে নিজের ভার্চুয়াল প্রতিচ্ছবিও অন্যের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে পারছে৷

https://p.dw.com/p/2jK9q
Symbolbild Cyber Mobbing
ছবি: Sylvie Bouchard - Fotolia.com

ভাইমার শহরের বাউহাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের এক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন৷ এই প্রচেষ্টা সফল হলে সংলাপের সময় সবার মনে হবে, যে তারা একই ঘরে রয়েছেন৷ মিডিয়া সিস্টেম ডেভেলপার স্টেফান বেক বলেন, ‘‘যেমন আমার বাবা-মা কিছুটা দূরে থাকেন৷ কিন্তু তাঁরা আমাকে আরও ঘনঘন দেখতে চান৷ সেটা সম্ভব হলে ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো লাগবে৷ এই প্রযুক্তি সেটা সম্ভব করতে পারে৷ তখন আমার বাবা-মা ভারচুয়াল পদ্ধতিতে আমার সঙ্গে এখানে দেখা করতে আসতে পারেন৷ আমি তাঁদের সঙ্গে এখানকার জীবনযাত্রা ও আমার কাজ সম্পর্কে কথা বলতে পারবো৷''

এই প্রযুক্তির কল্যাণে বেশ কয়েকজন একই সময়ে ত্রিমাত্রিক জগতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ এর জন্য তাঁদের এক ভার্চুয়াল স্পেসে মিলিত হতে হবে৷ বিশেষ চশমার সাহায্যে প্রত্যেকে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঘরের প্রোজেকশন দেখতে পারবেন৷ তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্ডার কুলিক মনে করেন, ‘‘এমন যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের শরীর ও অন্যের অস্তিত্বের প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল কনটেন্ট অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে৷''

এই সিস্টেমের দৌলতে যোগাযোগের মান নতুন মাত্রা অর্জন করে৷ ভার্চুয়াল আর বাস্তব জগত মিলেমিশে যায়৷ একে বলে ‘মিক্সড রিয়ালিটি'৷ ভবিষ্যতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷

থ্রিডি প্রযুক্তি দিয়ে ভার্চুয়াল প্রতিচ্ছবি

মাইক্রোসফট কোম্পানিও তার হলোলেন্স-এর মাধ্যমে মিক্সড রিয়ালিটির পথে চলেছে৷ তাতে চশমার মধ্যেই পর্দা রয়েছে৷ কোম্পানির এক ভিডিওর মাধ্যমে এর  হলোলেন্স’ সম্পর্কে আরও তথ্যসম্ভাবনা তুলে ধরছে৷ ভার্চুয়াল ব্যক্তিকে কতটা বাস্তব দেখা যাচ্ছে, তার উপর তার গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করছে৷ আলেক্সান্ডার কুলিক বলেন, ‘‘সাধারণ দ্বিমাত্রিক ভিডিওতে আজ আমরা যে উচ্চ মান দেখতে পাই, থ্রিডির ক্ষেত্রেও তা আসতে বেশি দিন লাগবে না৷ আমার মনে হয়, সেদিকেই আমরা এগোতে চাই৷''

হলোলেন্সের এই প্রয়োগ এবং ভাইমারে পরীক্ষামূলক ল্যাবের প্রযুক্তি এক ধরনের থ্রিডি ভিডিও টেলিফোন সংলাপ৷ কোনো ব্যক্তির ছবি তুলে অন্য কোনো জায়গায় তা প্রজেক্ট করা হচ্ছে৷ তার ভার্চুয়াল প্রতিচ্ছবি অনেকটা মূল ব্যক্তির মতোই৷

আরেকটি প্রযুক্তির মাধ্যমে  ভার্চুয়াল ইমেজ একেবারে মৌলিকভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ ট্যুবিঙেন শহরে মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমে এমন মডেল দেখা যায়৷ একটি স্ক্যানারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা অনেক মানুষের ছবি তুলে কম্পিউটারে বিশ্লেষণ করেছেন৷

জটিল অ্যালগোরিদমের সাহায্যে তাঁরা নতুন অবতার সৃষ্টি করতে পারেন৷ রেকর্ডিং-এর উপর তাদের নড়াচড়া নির্ভর করে না৷ কম্পিউটার থেকে সেই অবতার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ মিডিয়া বিজ্ঞানী স্টেফান বেক বলেন, ‘‘সশরীরে উপস্থিত না হয়েও নিজের ভার্চুয়াল রূপ অন্য জায়গায় বিম করা যায়৷ আমার ভার্চুয়াল প্রতিচ্ছবি আমার ইচ্ছামতো কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে৷ ভবিষ্যতে হয়ত ভার্চুয়াল ব্যক্তিরাই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবে৷ কেউ আসল না নকল, তা বোঝা যাবে না৷''

নিজের ভার্চুয়াল কপি সৃষ্টি করে একই সময়ে একাধিক জায়গায় উপস্থিত থাকার মতো স্বপ্নের সব সম্ভাবনা আজই অনুমান করা সম্ভব নয়৷

ইয়েন্স হানে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য