যে ৮টি কারণে অপূর্ব কাসেল ভ্রমণ করতে পারেন
প্রতি পাঁচ বছরে কাসেল হয়ে ওঠে শিল্প অনুরাগীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু৷ কেননা, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রদর্শনী ‘ডকুমেন্টা’ এখানে অনুষ্ঠিত হয় ৫ বছর পর পর৷ কিন্তু এটা ছাড়াও কাসেল ভ্রমণের বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে৷
হারকিউলিস
হারকিউলিসের স্মৃতিস্তম্ভটি কাসেলের প্রধান দ্রষ্টব্য৷ ৭০ মিটার লম্বা এই স্মৃতিস্তম্ভটির উপর থেকে পুরো শহরটা দেখা যায়৷ এর নীচেই রয়েছে বের্গপার্ক৷ হেসে-কাসেলের জমিদার প্রথম চার্লস ৩০০ বছর আগে এটা নির্মাণ করিয়েছিলেন৷
বের্গপার্ক ভিলহেল্মশ্যোহে
বের্গপার্ক ভিলহেল্মশ্যোহে ২০১৩ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে৷ মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত পার্কে প্রতি বুধবার এবং রবিবার ও ছুটিরদিনে বৈচিত্রময় পানির ফোয়ারা দেখতে পাওয়া যায়৷
ভিলহেল্মশ্যোহে প্রাসাদ
এই প্রাসাদটিও বের্গপার্কে অবস্থিত৷ প্রাসাদে বেশ কিছু প্রাচীন জিনিসপত্র রয়েছে, রয়েছে পুরোনো বিখ্যাত চিত্রকর্ম৷ এছাড়া এখানে অস্থায়ী প্রদর্শনী হয়ে থাকে৷
বইয়ের পার্থেনন
পার্থেনন বা অ্যাথেনা দেবীর মন্দির৷ কিন্তু কাসেলের ‘ডকুমেন্টায়’ এই পার্থেনন নির্মিত হয়েছে বই দিয়ে৷ এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে যে মন্দির রয়েছে এটার আকার ঠিক সেরকম৷ এখানে এমন সব বই রাখা হয়েছে, যেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে৷
আকাশের পথে হাঁটছে মানব
১৯৯২ সালের ৯ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডকুমেন্টায় শিল্পী জোনাথন বোরোফস্কি ‘ম্যান ওয়াকিং টু দ্য স্কাই’ ভাস্কর্যটি এনে এখানে স্থাপন করেছিলেন৷ তখন থেকে এটি কাসেলেই রয়ে গেছে৷
ট্রেপেনস্ট্রাসে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাসেল শহরের প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ ৫০ এর দশকে এটা পুনর্নিমাণ করা হয়৷ ট্রেপেনস্ট্রাসে বা ট্রেপেন স্ট্রিট ছিল কাসেলের প্রথম পায়ে হাঁটা পথ৷
মৃত্যু জাদুঘর
১৯৯২ সালে যখন প্রথম এই জাদুঘরটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বিশ্বে তখন এটাই ছিল এ ধরণের প্রথম জাদুঘর৷ এর লক্ষ্য হলো, মৃত্যু সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয়কে ফুটিয়ে তোলা৷ এখানকার প্রদর্শনীটি স্থায়ী, যেখানে দেখানো হয় মানুষ মৃত্যুর সাথে কীভাবে মানিয়ে নেয়৷
গ্রিমের বিশ্ব
কাসেল সিটির একটি জাদুঘর এখানকার বিখ্যাত অধিবাসীদের জন্য উৎসর্গকৃত৷ কাসেল ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে গ্রিম ভাইয়েরা জনপ্রিয় লোক গল্প সংগ্রহ করেছিলেন, যেগুলো তাদেরকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছে৷ ২০১৫ সাল থেকে ‘গ্রিম ওয়ার্ল্ড’ তাদের গল্প বলে চলেছে৷