1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই: জব্বার

২৭ এপ্রিল ২০১১

মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে এম এ জব্বার ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে৷ পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে কর্মরত৷ সে সময় পাকিস্তান থেকে একটি ট্যাঙ্ক দখল করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন জব্বারসহ পাঁচ সাহসী বাঙালি সেনা৷ এরপর যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/114TN
নতুন প্রজন্মের কাছে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসছবি: AP

একাত্তরে নিজ দেশে পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের খবর ভালোভাবেই পেয়েছিলেন জব্বাররা৷ তাই দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন তিনিসহ কয়েকজন৷ কিন্তু তখন দেশে ফেরা সহজ কাজ নয়৷ জব্বার তাই, আরো কয়েকজন বাঙালি সহযোদ্ধাসহ একটি ট্যাঙ্ক দখল করলেন৷ এরপর সেই ট্যাঙ্ক নিয়ে পাকিস্তান থেকে প্রবেশ করলেন ভারত সীমান্তে৷ তিনি জানান, লাহোর থেকে দিল্লীর রাস্তা, জিটি রোড৷ সেই রোড ধরেই আমরা ভারতের দিকে এগিয়ে যাই৷

সেই সময় ট্যাঙ্ক নিয়েই ভারতীয় সীমান্তের আট-দশ মাইল ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন জব্বাররা৷ এরপর তাঁরা যোগাযোগ করেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে৷ ট্যাঙ্কটা থেকে যায় সীমান্ত এলাকায়৷ জব্বার একাধিকাবার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন৷ সবশেষে পৌঁছে যান কলকাতায়৷ তাঁর কথায়, একাত্তরের মে মাসের ২৭ কিংবা ২৮ তারিখের দিকে কলকাতা পৌঁছাই৷ এরপর ওসমানি সাহেবের সঙ্গে দেখা করি৷

জুলাই মাসের দিকে জব্বার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন৷ সেক্টর-২ এ ছিলেন তিনি৷ সেসময়কার স্মরণীয় কোন অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে, তিনি মিয়ারবাজারের হাতাহাতি যুদ্ধের কথা স্মরণ করেন৷ সেই যুদ্ধে বেশ কঠিন ছিল জব্বারদের জন্য৷ সেখানে তাদের অবস্থা মরনাপন্ন হয়েছিল৷

একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনা বাহিনী থেকে অবসরে গিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান জব্বার৷ লিবিয়া, সৌদি আরবে কাটিয়ে দেন অনেক বছর৷ এরই মধ্যে জানতে পারেন, মুক্তি বার্তায় বীর প্রতিকের তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে৷ কিন্তু সে এক বঞ্চনার গল্প৷ জব্বার জানান, মুক্তি বার্তায় বীর প্রতিক হিসেবে তাঁর নাম থাকলেও গেজেট আকারে প্রকাশিত তালিকায় আর জব্বারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

এম এ জব্বার বর্তমানে বাস করেন কসবা থানার নয়নপুর গ্রামে৷ বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান দাবি একটাই, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই'৷ নিজের জীবদ্দশাতেই এই বিচার দেখতে চান তিনি৷ স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে আর কোন চাওয়া নেই তাঁর৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক