যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তর্জাতিক মান চায় ইইউ
২৫ অক্টোবর ২০১০আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ আন্তর্জাতিক মানের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, অপরাধীরা আত্মপক্ষ সমর্থন এবং পছন্দমত আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পাবেন৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ষ্টিফেন ফ্রয়েন বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করছেন৷ আসছে ডিসেম্বরেই তাঁর বাংলাদেশে কাজের মেয়াদ শেষ হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী এই দূত রোববার সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে৷ সাক্ষাতের সময় তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং সংসদ নিয়ে কথা বলেন৷ তিনি বলেন গণতন্ত্রকে তার আপন গতিতে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম৷ সংবাদ মাধ্যম দোষ-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে সহায়তা করে৷ আর প্রয়োজন কার্যকর সংসদ কিন্তু বাংলাদেশে সংসদ পুরোপুরি কার্যকর নয়৷ বিরোধী দল প্রায়ই সংসদে অনুপস্থিত থাকছে৷
আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ সংসদ যে পুরোপুরি সক্রিয় নয় সে কথা স্বীকার করেন৷ তবে বিরোধী দল যেসব কারণ দেখিয়ে সংসদ বর্জন করছে তা সংসদ বর্জনের জন্য যুক্তিযুক্ত কারণ নয় বলে মনে করেন তিনি৷
ষ্টিফেন ফ্রয়েন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কথা বলেন৷ তিনি বলেন, এব্যাপারে আন্তর্জাতিক মান বাজায় রাখা উচিত৷ বিচারে যাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় এবং আইনের কোনদিকই যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
আইনমন্ত্রী তাঁকে বিচারে স্বচ্ছতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে কোন বাধা নেই৷ তারা যত খুশী আসতে পারেন৷ যুদ্ধাপরাধীরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন এবং পছন্দ মত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন৷
ষ্টিফেন ফ্রয়েন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও কথা বলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই