যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উঠল স্বাধীনতা দিবসে
২৬ মার্চ ২০১১স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকীতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লাখো জনতা৷ সবার কন্ঠে ছিলো যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে দৃপ্ত শপথ৷ ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়৷ জাতি স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের৷
৪০ বছর আগের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা৷
শনিবার ভোরে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়েছে৷ সকাল ৬টা টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা৷ এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর৷
তিন বাহিনীর সু-সজ্জিত একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারসহ উর্দ্ধতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা৷
সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ রাষ্ট্রপতির বিশেষ আমন্ত্রণে স্বাধীনতার উৎসবে অংশ নিতে ঢাকায় আসা ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুকও এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন৷
স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সবার কন্ঠে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও বললেন শিগগিরই শুরু হচ্ছে বিচার৷
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে নামে লাখো মানুষের ঢল৷ এসময় ফুলে ফুলে ভরে যায় স্মৃতিসৌধের বেদি। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে থাকায় বিএনপির পক্ষে সকাল সোয়া ৯ টায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়৷
প্রতিবেদন :সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়