1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধক্ষেত্র ব্যাংকক : পাঁচজন নিহত

১৪ মে ২০১০

যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে থাই রাজধানী ব্যাংকক৷ ইতিমধ্যে লাল জামাধারী আন্দোলনকারীদের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়েছে, কাঁদানে গ্যাসের ধোয়ায় সেখানে চোখজ্বালা বাতাস৷ রাস্তায় রাস্তায় জ্বলছে টায়ার৷

https://p.dw.com/p/NNYw
ছবি: AP

শুক্রবার প্রথমে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও ব্যাংককের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যাচ্ছে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে৷ আহতদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স ভিত্তিক এক টেলিভিশনের কানাডিয়ান ও থাই ফটোগ্রাফার সহ অন্তত ৪৫ জন৷

দুই মাসের সরকার বিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন থাইল্যান্ডে৷ সরকার নিয়েছে অনড় অবস্থান এবং নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে নেমেছে বেশ শক্তির সঙ্গে৷ ব্যাংককের রাস্তায়, যেখানেই আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিচ্ছেন, সেখানেই তাদের ছত্রভঙ্গ করতে চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণ৷ সেনা সদস্যরা এক সঙ্গে মোটর সাইকেলে চেপে, অস্ত্রহাতে বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে৷ তবে এতো আক্রমণের মুখেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার সমর্থক লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের এক কথা : তারা রাজপথ ছাড়বেন না৷ আন্দোলনকারীদের একক মঞ্চ ‘ইউনাইটেড ফ্রন্ট অফ ডেমোক্র্যাসি এগনেস্ট ডিকটেটরশিপ' বা ইউডিডি নেতা নাটাউট সাইকুয়া বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলছেন, আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত৷ আন্দোলনকারীরা পুলিশের বেশ কয়েকটি ভ্যানে আগুন লাগিয়েছে বলেও খবর৷

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা রয়েছেন মন্টেনেগ্রোতে৷ সেখান থেকেই তিনি আন্দোলনকারীদের উপর হামলা পরিচালনার নিন্দা করেছেন৷ অবশ্য মন্টেনেগ্রোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলান রোসেন এক বিবৃতি জানিয়েছেন, তাদের দেশে অবস্থানরত শিনাওয়াত্রাকে থাইল্যান্ডের রাজনীতি নিয়ে কোন বিবৃতি না দেবার জন্য তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এক নির্দেশনা দিয়েছেন৷ তিনি বললেন, আমরা তাকে সাবধান করে দিয়েছি যেন তিনি কোন রাজনৈতিক কথা না বলেন৷

চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভার শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হবার পর মূলত গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় সরকারী বাহিনীর শক্ত অভিযান৷ গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল আরও একজন আন্দোলনকারী৷

নতুন নির্বাচনের দাবিতে লাল জামারা গত দু'মাস ধরে ব্যাংককের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা দখল করে আছে৷ থাই সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নভেম্বরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসায় এবার বেশ কঠোর অবস্থান নিরাপত্তা বাহিনীর৷ যেকোন মূল্যে আন্দোলনকারীদের সরাতে তাই ভারী অস্ত্রশস্ত্র, সামরিক যানসহ মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন