যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ তুষারঝড়
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০এই তুষারঝড়ে ভার্জিনিয়ায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ এছাড়া রাজধানী ওয়াশিংটন ও এর আশে পাশের এলাকার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ বিদ্যুত্হীন হয়ে পড়ে৷
প্রায় এক হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তুষারপাতের কারণে ইন্ডিয়ানা রাজ্যের পূর্ব থেকে শুরু করে নিউ জার্সি ও নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে ৩৮ ইঞ্চি পুরু তুষারপাত পরিমাপ করেছেন, যা একটি রেকর্ড৷ এ সময় প্রতি ঘন্টা ৯০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল বলে তারা জানান৷
এদিকে শনিবার বিকেলে ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশেপাশে প্রায় ৩৩ ইঞ্চি পুরুত্বের তুষারপাত পরিমাপ করা হয়৷ এছাড়া ফিলাডেলফিয়া ও পেনসিলভেনিয়ায় ২৯ ইঞ্চি আর উইলমিংটন ও দেলাওয়ারে সাড়ে ২৬ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷
প্রবল তুষারঝড়ে এলাকার অনেক গাছ উপড়ে যায়৷ এছাড়া অনেক বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুত ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে৷ ওয়াশিংটনের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷
রোববার পুরোদিন ঠান্ডা আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন৷ ফলে ভেজা তুষারগুলো জমে বরফে পরিণত হয়ে পরিস্থিত কঠিন করে তুলতে পারে বলে জানাচ্ছেন তারা৷
মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়াতে সবচেয়ে বেশি তুষারঝড় হয়েছে বলে জানা গেছে৷ মেরিল্যান্ডের জরুরী ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলছেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ৷ তার মতে, মেরিল্যান্ডের ইতিহাসে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বড় তুষারঝড়৷
জরুরী বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নতি করতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ তাদেরই একজন জানালেন যে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে ঠিকমত কাজ করা যাচ্ছেনা৷
ভার্জিনিয়ার পুলিশ বলছে তারা নাগরিকদের কাছে থেকে মোট ৩,১৬৭টি ফোন কল পেয়েছেন৷ এর দুই-তৃতীয়াংশই তুষারঝড়ে আটকে পড়া গাড়ী থেকে করা হয়েছে৷
ভার্জিনিয়ার স্থানীয় বিমানবন্দরে সব বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ওয়াশিংটনের ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷
তুষারঝড়ের পরপরই তুষার সরানোর কাজে নেমে পড়েছেন সড়ক কর্মীরা৷ প্রথমে তারা প্রধান প্রধান সড়কে কাজ করছেন৷ তারা বলছেন, শাখা সড়কগুলোতে যেতে তাদের সময় লাগবে৷ তাই সোমবার অফিস শুরুর সময়ে যারা রাস্তায় বের হবেন তাদের চলাচলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷
প্রতিবেদনঃ জাহিদুল হক
সম্পাদনাঃ অরুন শঙ্কর চৌধুরী