1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকদিনের ঝড়ে ১৭৮ জনের প্রাণহানি

২৮ এপ্রিল ২০১১

প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামায় বুধবারে অন্তত ১২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ ভয়াবহ ঐ ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ভবন ধসে পড়েছে৷ প্লাবিত হয়েছে বহু জায়গা৷ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বন্যার৷

https://p.dw.com/p/1153P
ছবি: AP

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ছয়টি রাজ্যের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে ঝড়৷ বুধবারের ঝড় নিয়ে এই পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৮ জন৷ অ্যালাবামা জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইয়াসামি আগস্ট বলেছেন, জরুরি কর্মকর্তারা প্রচণ্ড ঐ ঝড়ে বুধবারে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যালাবামা রাজ্য৷ সেখানে গত ২৪ ঘন্টাতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু জন৷ তিনি বলেন, ঠিক কতোটা ক্ষতি হয়েছে আমরা এখনও তা নিরূপণ করার চেষ্টা করে চলেছি৷ শহরের হাসপাতালে অন্তত ১শ ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে, তবে চিকিৎসা করা হয়েছে প্রায় ৪শ জনের৷

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণিঝড়টি যখন টুসকালুসা শহরে আছড়ে পড়ে সেই সময়েই সেখানে ১৫ জন প্রাণ হারান৷ ঐ অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি শহরটিতে ৯৩ হাজার মানুষের বাস৷ এর তিন ঘন্টা পরে আরো শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়টি জর্জিয়ায় আঘাত হানে৷

আক্কু ওয়েদার ডট কম-এর আবহাওয়াবিদ জোস নাগেলবার্গ বলেছেন, ‘‘অ্যালাবামার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়৷ আমাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি আঘাত হেনেছে সেটা৷ কাউন্টির প্রতিটি জায়গার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷''

অ্যালাবামা,আরকানসাস, কেনটুকি, মিসিসিপি, মিসৌরি, টেনেসি এবং ওকলাহোমাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘূর্ণিদুর্গত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কয়েকদিনের ভয়াবহ ঝড়ে সব ক্ষয়ক্ষতির কথা আমরা নাও জেনে থাকতে পারি৷ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐ ঝড় পর্যবেক্ষণ করা আমরা অব্যাহত রাখবো৷ আলাবামার জনগণের জন্যে সাহায্য অব্যাহত রাখা ছাড়াও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব নাগরিকের পাশে দাঁড়াতেই আমরা প্রস্তুত৷''

ঘূর্ণিঝড় পূর্বাঞ্চল ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে৷ ঝড় ওয়াশিংটন ডিসি-কে ছুঁয়ে গেলেও, সেখানে আহত হবার কোনো খবর পাওয়া যায় নি৷ এদিকে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে এবং শুক্রবারেও, আকাশ পরিষ্কার হবার কোনো লক্ষণ না থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক