যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাসের নতুন মিউজিয়াম
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আফ্রিকান-অ্যামেরিকান হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার হলো যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাসের প্রথম সংগ্রহশালা৷
প্রতীকী স্থাপত্য
ওয়াশিংটনের ‘ন্যাশনাল মল’, যাকে ‘অ্যামেরিকার সামনের বাগান’ বলা হয়ে থাকে, সেখানে নানা শ্বেতপাথরের স্মৃতিসৌধ ও সংগ্রহশালার মধ্যে এই আট-তলা ভবনটি হলো ব্রোঞ্জ রঙের৷ মার্কিন ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা অন্ধকার কিছু অধ্যায়ের সাক্ষী এই মিউজিয়াম৷
প্রেসিডেন্ট জেফারসনের ত্রীতদাসেরা
দাসপ্রথা ও ক্রীতদাসদের স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে ঘিরে যে প্রদর্শনী, তার একটি সামগ্রী হলো প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের ৬০০-র বেশি ক্রীতদাসের নাম, যা পাথরে উৎকীর্ণ করে রাখা হয়েছে৷ জেফারসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে গণ্য৷
দাসত্ব ও মুক্তি
বেসমেন্টে দাসত্ব ও মুক্তি বিষয়ক প্রদর্শনীটি বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য৷ পয়েন্ট অফ পাইন্স নামের একটি শ্বেতাঙ্গ খামারবাড়ি থেকে আনা আঙ্কল টমস কেবিন-এর মতো একটি কাঠের কুটির দাসপ্রথার কুখ্যাততম দিকটি তুলে ধরেছে৷
কৃষ্ণাঙ্গ অ্যামেরিকান মানেই গানবাজনা
যা আজও দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাবার একটা পথ৷ রক-অ্যান্ড-রোল গায়ক চাক বেরির ক্যাডিলাক গাড়ি রাখা রয়েছে এই মিউজিয়ামে৷ চাক বেরি নিজে এই গাড়িটি মিউজিয়ামকে দান করেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট
অ্যামেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে বারাক ওবামা এক আশ্চর্য কাহিনি৷ ঠিক তাঁর প্রেসিডেন্সিতেই যে এই মিউজিয়ামটি খোলা হলো, সেটাও যেন এক প্রতীকী পদক্ষেপ৷
সাফল্যের নানা মুখ
আফ্রিকান-অ্যামেরিকান সমাজভুক্ত বহু মানুষ নানা ধরনের বাধা পার হয়ে নিজেদের পেশার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছেন৷ মিউজিয়াম তাদের সম্মান জানাতে ভোলেনি৷
সুবিশাল
মিউজিয়ামের চার লাখ বর্গফুট এলাকার অনেকটাই মাটির নীচে৷ গোটা মিউজিয়াম জুড়ে মাঝে মধ্যে জায়গা খালি রাখা হয়েছে, যেখানে দর্শকরা খানিকটা জিরিয়ে নিতে পারেন৷