যদি বাজপাখির মতো উড়তে পারতাম...
আজ থেকে ১০০ বছর আগে অটো লিলিয়েনথাল পাখিদের ওড়া দেখে মানুষের আকাশে ওড়ার পন্থা আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন৷ আজ মিউনিখের গবেষকরা আরো ভালো প্লেন ও ড্রোন তৈরির আশায় বাজপাখিদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন৷
বাজপাখির উড়াল
উইন্ড টানেল দিয়ে জোরে বাতাস বইছে, সেই বাতাসে পাখা মেলেছে এক বাজপাখি৷ দশটি হাই স্পিড ক্যামেরা তার উড়ালের প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরে রাখছে৷
অসাধারণ ছবি
প্রতিটি ক্যামেরা সেকেন্ডে ১,০০০ ছবি তোলে৷ কাজেই মিউনিখে অবস্থিত জার্মান সামরিক বাহিনীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফ্লুইডমেকানিক্স অ্যান্ড এয়ারোডাইন্যামিক্সের বিজ্ঞানীরা বাজপাখির উড়াল বিশ্লেষণ করার জন্য বিপুল পরিমাণ তথ্য পাচ্ছেন৷
পাখিদের কাছে উড়তে শেখা
বিশেষ করে ড্রোন তৈরির কাজে বাজপাখিদের পাখা না ঝাপটে, শুধু পাখা মেলে বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতাটা বিজ্ঞানীদের কাজে আসতে পারে৷
উচ্চগতি সম্পন্ন
বাজপাখিরা বিশ্বের দ্রুততম পাখিদের মধ্যে পড়ে৷ এক কিলো মতো ওজনের, এক মিটার উইং স্প্যানের এই পাখিরা নোজডাইভ, অর্থাৎ পাখা মুড়ে ওপর থেকে নীচে ঝাঁপ দেবার সময় ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতি অর্জন করতে পারে৷
মানুষও ওড়া শিখতে চেয়েছে
যেমন জার্মানির অটো লিলিয়েনথাল, যাঁকে বিমানচালনার পথিকৃৎ বলে গণ্য করা হয়৷ তিনি ওড়া সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছিলেন সারস পাখিদের দেখে৷ ছবিতে বার্লিনের ফ্লিগেব্যার্গে লিলিয়েনথালের সেই ঐতিহাসিক উড়ালের একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
পাখির পালক
বাজপাখিদের বাদামি-সাদা দু’ধরনের পালক থাকায় তাদের পর্যবেক্ষণ করা সোজা, বলে ফ্যালকনার, অর্থাৎ যারা সাধ করে বাজপাখে পুষে থাকেন, তাদের ধারণা৷ সত্যিই এ ধরনের ছবির জন্য আলাদা করে রং দিতে হয় না৷
শ্যেনচক্ষু
মিউনিখের বিজ্ঞানীরা সারা বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন, তারপর তাঁদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করবেন৷ অবশ্য বাজপাখিরা তা পড়বে কিনা সন্দেহ!