1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মৎস্যজীবী’ রাজনীতিবিদ

২৫ ডিসেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় ফেসবুকে৷ গত পাঁচ বছরে অনেক মন্ত্রী-সাংসদের সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে৷ এদের কারো কারো আয়ের অন্যতম উৎস মাছ চাষ৷

https://p.dw.com/p/1AghQ
Bangladesch Kinder spielen im Wasser
প্রতীকী ছবিছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

‘মৎস্যজীবী' রাজনীতিবিদসহ অন্যান্য মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসেব নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই৷ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের বরাতেই আলোচনার সূত্রপাত৷ আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করে কমিশন, যেখানে তাদের সম্পদের বিবরণ রয়েছে৷ এই বিষয়ে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সাংবাদিকরা সত্যি খারাপ৷ কারো উন্নতি তাদের সহ্য হয় না৷ আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা পাঁচ বছর খালে বিলে ঘুরে মাছ টাছ ধরে কিছু টাকা পয়সা কামিয়েছে, তাতেই সাংবাদিকদের ঘুম হারাম৷''

এটিএন নিউজের এই সাংবাদিক ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘‘পাঁচ বছর দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে৷ মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের ঘরে তো সেই জোয়ারের ঢেউ লাগতেই পারে৷ এই নিয়ে এত হইচই করার কী আছে বুঝলাম না৷ তবে একটা জিনিস বুঝেছি দেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এখন মাছ ধরা৷ নদীমাতৃক বাংলাদেশে তাই হওয়া উচিত৷ সব দেখেশুনে জাউলা হইতে মন চাচ্ছে৷''

ব্লগার রাসেল পারভেজ ফেসবুকে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থীর হলফনামা আর আয়কর বিবরণী প্রকাশিত হওয়ায় ৫ বছরের লুটপাটের আইনসিদ্ধ অংশটুকু গণমাধ্যমের নজরে এসেছে , বিপুল পরিমাণ সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্নের মুখে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে তথ্য গোপন করার চাপ দিচ্ছে৷ ...দুর্নীতি প্রকাশিত হওয়ার পর তারা লুঙ্গি তুলে লজ্জায় মুখ ঢাকছেন৷''

এদিকে, প্রার্থীদের আয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেছে৷ সাইটটিতে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাব এখন আর দেখা যাচ্ছে না৷ সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাঙালির স্বভাব খারাপ৷ অন্যের উন্নতি তার কোনোকালেই সহ্য হয় না৷ এমনকি গোত্রদলের উন্নতিও সহ্য হয় না৷ এই উন্নয়ন অসহ্য বাঙালিকে টাইট দেয়া দরকার৷ নির্বাচন কমিশন তথ্য সরবরাহ বন্ধ করে সেই ভাল কাজটি করেছেন৷ সেখানকার সবাইকে অভিবাদন৷''

আরেক সাংবাদিক অঞ্জন রায়ের মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিকে ব্যবসা বানানোর অপরাধে কিছু মানুষের বিচার দাবি করছি৷ আমি বিশ্বাস করি একদিন সেই বিচার আমরা দেখবো, এটিই ইতিহাসের শিক্ষা- হিসাবের পৃষ্ঠা মুছে দিলেই কি হিসাব ভুলিয়ে দেয়া যাবে?''

‘সাপ্তাহিক' পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, ‘‘ইসির ওয়েবসাইটে হলফনামা পাওয়া যাচ্ছে না' - হাতি জঙ্গলে মুখ লুকায়, সমস্ত উলঙ্গ শরীর দেখা যায়৷ হলফনামা লুকানোয় কার উলঙ্গ শরীর দেখা যাচ্ছে, লেজ নাড়ানো জি হুজুর রকিব মিয়ার না ক্ষমতাসীনদের...?''

r. Abul Mal Abdul Muhit is the Finance minister of Bangladesh Government.
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতছবি: Samir Kumar Dey

রাজনীতিবিদদের সম্পদের হিসাব নিয়ে আলোচনা চলছে বাংলা ব্লগেও৷ তবে অধিকাংশই ছদ্মনামে এই বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন৷ স্বনামে লেখা নিবন্ধের সংখ্যা বেশ কম৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে আহসান তারিক লিখেছেন, ‘‘অতীব কৌতূহলে লক্ষ্য করছি, হলফনামায় প্রকৃত তথ্য এড়ানোর হিড়িক পড়েছে যেন৷ আর এ তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন নীতি কথা বলে মুখে খ‍ই ফোটানো মন্ত্রী থেকে শুরু করে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত৷''

এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘দিনরাত শেয়ারবাজারকে দুষ্টু, রাবিশ, বোগাস বলে ওঠা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন শেয়ার ব্যবসায়ী – এই চমকপ্রদ তথ্য জেনে আমরা নির্মল বিনোদন লাভ করি৷ হলমার্ক কেলেংকারির হোতা তানভিরের পক্ষ নেয়া মুহিত সাহেবের নাকি জনতা ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ আছে৷ জনতা ব্যাংকে ঋণ আছে জন্যই, তিনি জনতা ব্যাংকের ঋণখেলাপি তানভিরকে আরো ঋণ দেবার সুপারিশ করেন কি না, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য