মৌ-চাষীর বাড়িতে একদিন
মৌ-চাষী ফ্রিডেল মিরবাখের ছোটবেলা থেকেই পোকামাকড়ের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল৷ তাঁর বাগানে ৩০০,০০০ মৌমাছি রয়েছে এবং বাগানটি তিনি এমনভাবেই তৈরি করেছেন যেন মৌমাছিরা সব সুবিধা পেতে পারে৷ হ্যাঁ, মৌমাছি বিষয়ক কিছু তথ্য পাবেন এখানে৷
বাগানে মধু চাষ
জার্মানিতে ৭৫০,০০০ প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে৷ মৌ-চাষী ফ্রিডেল মিরবাখের বাগানে রয়েছে ৩০০,০০০ প্রজাতির মৌমাছি৷ তারা মধু উৎপাদন করে এবং বাগানের গাছকে উর্বর করে৷
মৌমাছিদের ঘর
এই বাক্সটাতে মিরবাখের মৌমাছিরা থাকে এবং কাজ করে৷ মৌমাছি সম্পর্কে জানার আগ্রহ যাঁদের – অর্থাৎ ছোট-বড় সবাই আসে এখানে৷ বলা বাহুল্য, মৌমাছিদের কাছে যেতে বা তাদের হাত দিয়ে ধরতে মানুষের মধ্যে যে ভয়টা থাকে, এখানে এসে সেটা কেটে যায়৷
প্রতারণা?
মধু সংগ্রহ করার সময় মৌমাছিদের দাবানল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ফ্রিডেল মিরবাখ একটি বিশেষ পোশাক পরে নেন৷ এভাবেই তিনি মৌচাক থেকে মধু নিয়ে ‘স্টোর’ বা জমা করে রাখেন৷
রস, মোম ও মধু
মিরবাখ মৌচাক থেকে একটি টুকরো বের করে নেন যাতে তিনি ভেতরটা ভালো করে দেখতে পারেন৷ মৌমাছিরা মধুর মধ্যে তখন এতটাই ডুবে থাকে যে ওরা তখন কোনো প্রতিবাদও করে না৷
সোনালি রং-এর মৌমাছির জগৎ
‘‘এখানে মধু জমানো হয়৷ চাইলে গরম, তরল এবং সুস্বাদু মধু চেখে দেখা যায় এখানে’’, খুশি মুখে বলেন মিরবাখ৷ হঠাৎ করে যদি এখান থেকে ফোটা ফোটা মধু পড়তে থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা তা মুছে ফেলেন৷ আর জমে থাকা মধু নিয়ে রাখা হয় ভেতরে৷
আলাদা হয়ে যাওয়া
গ্রীষ্মকালে মৌমাছিরা ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ মা মৌমাছি কিছু সংখ্যক মৌমাছিকে নিয়ে উড়ে যায় নতুন বাড়ির খোঁজে৷ তবে খুব বেশি দূর যেতে হয় না৷ প্রথমেই তারা গিয়ে বাসা বাঁধে আপেল গাছে৷ পরে মৌ-চাষী তাগেরপ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে৷
মৌমাছির গোসল
ফ্রিডেল গাছে বসে থাকা মৌমাছিগুলোকে পানি স্প্রে করে গোসল করায় আর এভাবেই সবগুলো মৌমাছি তাঁর কাছে একসাথে ফিরে আসে৷ সেসময় মৌমাছিরা একটু আধটু কামড় দিলেও মিরবাখ সেজন্য আলাদা কোনো পোশাক পরেন না৷ মৌমাছিরাও সেটা জানে৷
আপেল গাছে রাত কাটানো
হাজারো মৌমাছি যখন ঘুরে বেড়ায় তখন আপেল গাছে একটি ‘বাক্স’ ঝুলিয়ে দেন ফ্রিডেল৷ এই অস্থায়ী বাসায় প্রথমে ঢোকে রানী মৌমাছি৷ অন্যরাও আসে আস্তে আস্তে৷ সবাই ‘হোটেল’-টি খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত বাক্স ঝুলানো থাকে৷ এরপর একজন নতুন মৌ-চাষীকে খোঁজা হয়৷
ফল উৎপাদনে মৌমাছির ভূমিকা
মৌমাছিরা ভালো চেরিফল উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে৷ যদি একবার মৌমাছি চেরি গাছে বসে, তাহলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে গাছেই থাকে৷
শুধু মৌমাছিই নয়
মৌমাছি ছাড়াও রয়েছে বন্য মৌমাছি বা অন্যান্য পোকা-মাকড় যারা বিভিন্ন ফল গাছ ও সবজির উপকারে বসে, মধু খায়৷ এই যেমন, কালো এবং হলুদ রং-এর পোকাকে খুশি করার জন্য ফ্রিডেল মিরবাখ আগে থেকেই বাসা তৈরি করে রাখেন৷