মৌখিক আশ্বাসেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে গ্রিসকে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০নেতৃবৃন্দের শুকনো কথা
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি সহ ইইউর বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ৷ কিন্তু তাদের আলাপ আলোচনা শেষে ইইউর বর্তমান সভাপতি যে বক্তব্য দিলেন তাতে গ্রিসের নাগরিকরা হতাশ হয়েছেন৷ ইইউর বর্তমান সভাপতি হেরমান ফন রম্পুই বলেন, ‘চলতি বছরের জন্য গ্রিসের সরকার যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা পূরণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগে সহায়তা করবো৷ বাজেট ঘাটতি এই বছরে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য আমরা গ্রিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷' অর্থাৎ কেবল পাশে থাকার মৌখিক আশ্বাস পর্যন্তই থেকেছে ইইউ সভাপতির বক্তব্য৷
একইসঙ্গে অনেকেই মনে করেছিলেন, ইউরোপ তার সমস্যা সমাধানে নিজেরাই উদ্যোগী হবে৷ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলকে ডেকে আনার মত কাজ তারা করবে না৷ কিন্তু গ্রিসের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে আইএমএফ এর প্রস্তাব অনুযায়ী, সে কথাও জানিয়েছেন ফন রম্পুই৷ তিনি বলেন, ‘আইএমএফ এর বিশেষজ্ঞরা যে ছক এঁকে দেবেন তার ওপর ভিত্তি করেই বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব আমরা দেবো৷ প্রথম যাচাই বাছাই হবে মার্চ মাসে৷ ইউরোজোনের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সদস্য দেশগুলো সমন্বিত উদ্যোগ নেবে৷ গ্রিক সরকার কোন আর্থিক সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানায়নি৷'
দলীয় মতানৈক্যের ফলে সিদ্ধান্তহীনতা
যদিও গ্রিক সরকার কোন আর্থিক অনুদান মুখে চায়নি, তবুও ব্রাসেলসের আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে এসেছিল বলে জানা গেছে বিভিন্ন বার্তা মাধ্যমের খবর থেকে৷ জার্মানির সরকারী ব্যাংক গ্রিসের বন্ড কিনে নেবে এমন বিষয় নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ কিন্তু দেশগুলোর ক্ষমতাসীন দলের ভেতর মতানৈক্যের কারণেই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি৷
এদিকে গ্রিসের সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোর দাম কমছেই৷ বৃহস্পতিবারও ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম কমে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ অন্যদিকে ক্রমেই ইউরোর বিপরীতে সুবিধা করে নিচ্ছে মার্কিন ডলার৷
প্রতিবেদক রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা সাগর সরওয়ার