1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোহনবাগানের প্রথম শিল্ড জয় বাঙালিদের প্রেরণা দিয়েছিল

২৯ জুলাই ২০১০

১৯১১ সালে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব ইস্ট ইয়র্কশায়ারের বিরুদ্ধে খালি পায়ে খেলে বাঙালি ফুটবল দল মোহনবাগান-এর শিল্ড জয়ের ১০০ বছর পূর্ণ হলো৷ বৃহস্পতিবার মোহনবাগান তাঁবুতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা হল৷

https://p.dw.com/p/OXdT
কলকাতার ফুটবলের প্রাণ সল্ট সেক স্টেডিয়ামছবি: DW

সব অর্থেই ঐতিহাসিক এক ঘটনা ছিল সেদিন মোহনবাগান ক্লাবের সেই শিল্ড জয়৷ সেই প্রথম শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে দেশীয় খেলোয়াড়দের কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য, যা নতুন করে উদ্বুদ্ধ করেছিল স্বদেশ চেতনা৷ ফুটবল বুট পরা ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খালি পায়ে খেলে জিতে যাওয়া এক নতুন আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল সারা দেশেই৷ সেদিন মোহনবাগান ক্লাবের সেই ১১ জন বাঙালি খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন জননায়ক৷ এতদিন শিল্ড জয়ের দিনটি, অর্থাৎ ২৯ জুলাই পালিত হয়েছে মোহনবাগান দিবস হিসেবে৷ শিল্ড জয়ের শতবর্ষে, সেই ১১ জন খেলোয়াড়ের উত্তরসূরিদের হাতে মোহনবাগান রত্ন ট্রফি তুলে দিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাল মোহনবাগান৷ ক্লাব প্রাঙ্গণে, দলের প্রতীক পাল তোলা নৌকার আদলে তৈরি এক মঞ্চে দেওয়া হল এই সংবর্ধনা৷ এখন মোহনবাগান ক্লাবের যিনি কর্ণধার, সেই স্বপন সাধন বসু বললেন, স্বভাবসিদ্ধ উত্তেজনা ভুলে তিনিও অনেক শান্ত আছেন, কারণ ক্লাবটার নাম মোহনবাগান৷ জাতীয় ক্লাব৷ ভারতীয় ফুটবলের সূচনা করেছিল যারা, ১৯১১ সালে৷

শ্যামবাজার অঞ্চলের যে সরু গলি থেকে মোহনবাগান ক্লাবের যাত্রা শুরু, এখন যার নাম মোহনবাগান লেন, বৃহস্পতিবার সেখানেও ছিল উৎসবের মেজাজ৷ এই পাড়ার প্রবীণ বাসিন্দারা, যাঁরা অনেকেই বাংলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের সাক্ষী, তাঁরা এখনও গর্ব বোধ করেন ভারতের একমাত্র জাতীয় ক্লাবের স্বীকৃতি পাওয়া মোহনবাগানের ইতিহাসের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখতে পেরে৷

ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে মোহনবাগান ক্লাবের ফটক পর্যন্ত, ১৯১১ সালের শিল্ডজয়ী দলের খেলোয়াড়দের কাট আউটে সাজানো হয়েছে৷ ক্লাব তাঁবু সাজানো হয়েছে আলোয় ফুলে৷ দিনভর নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন চিত্র তারকারা, ক্রীড়া সাংবাদিকরা, মোহনবাগানের নবীন-প্রবীণ খেলোয়াড়েরা৷ আগামী এক বছর, অর্থাৎ ২৯ জুলাই ২০১১ পর্যন্ত এই উৎসবের রেশ থাকবে৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন