1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের সতর্ক পর্যবেক্ষণে মোদী

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ মে ২০১৪

ভারতের নির্বাচনে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা৷ তবে ভারতীয় জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মোদীকে পাঠানো হয়েছে অভিনন্দন বার্তাও৷

https://p.dw.com/p/1C1GC
Indien Wahlen Narendra Modi in Gandhinagar
ছবি: Reuters

ভারতের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রহ আর উত্তেজনার কমতি নেই৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের ভূখণ্ড, হিন্দু সম্প্রদায় এবং কথিত বহিরাগতদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য বাংলাদেশে আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷

এরপরও ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে এবং মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন – এ খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবং দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন৷

Sheikh Hasina
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেনছবি: Reuters

নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ে দেশটির ভাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া৷ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকেই খালেদা জিয়ার এই অভিনন্দন বার্তা ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হয়৷ দলীয় একটি সূত্র জানায়, বিজেপির জয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে পুরো ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই বিএনপির চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে মোদীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে৷

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিজেপি, দলীয় প্রধান রাজনাথ সিং ও ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছে৷ অভিনন্দন বার্তায় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের জনগণ বারে বারে প্রমাণ করে এসেছে যে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারা নিবেদিত এবং অদ্বিতীয়৷ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনগণ গণতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে তাদের অনন্য ভূমিকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে৷ নতুন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷

সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের জনগণ যে রায় দিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই হবে৷'' তিনি মনে করেন, নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে যে সব কথা বলেছেন তা ভোটের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ বাংলাদেশেও এ ধরণের রাজনীতি হয়৷ তাই রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং নীতি নির্ধারণে এ সব কথার কোনো প্রতিফলন থাকবে না বলেই তিনি আশা করেন৷

তিনি বলেন, ‘‘ভারতের পররাষ্ট্রনীতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একটি ছকে বাধা৷ যে সরকারই আসুক না কেন এর বাইরে যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই৷ মোদী সরকারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে বলে আমি মনে করি না৷'' তবুও সরকার গঠন এবং তার পরবর্তী কর্যক্রমের দিকে নজর রাখার কথা বলে তিনি জানান, ‘‘আমরা চাইব নতুন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করবে৷''

এছাড়া চূড়ান্ত ফল প্রকাশের অনেক আগে মোদীকে বিএনপির অভিনন্দন প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বিজেপি এবং বিএনপির আদর্শিক মিল রয়েছে৷ দু'টোই সাম্প্রদায়িক দল৷''

অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বিএনপি বিজেপি এবং মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতীয় জনগণের গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে৷ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈকি দল এই শিষ্টাচার দেখাবে এটাই স্বাভাবিক৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি আশা করছে নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদী যাই বলুন না কেন সরকার গঠনের পর তিস্তার পানি, সীমান্ত সমস্যাসহ দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করবেন৷'' দুদুর কথায়, ‘‘বিজেপি সরকার গঠনের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেন তা অবশ্যই আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব৷'' আমরা চাইব ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে৷''

‘বিজেপি এবং বিএনপির আদর্শিক মিল রয়েছে' – সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এই কথার জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী একটু দেরিতে হলেও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তাহলে আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যেও কি আদর্শিক মিল আছে?''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য